News update
  • Yao Wen looks for grand celeb of 50 years of China-BD ties     |     
  • Jashore’s Godkhali flowers expected to fetch Tk 100 crore     |     
  • Turk warns DR Congo crisis may worsen, without inte’l action     |     
  • Govt working with security forces to keep law, order: Prof Yunus     |     
  • Vandalism across Bangladesh to be resisted: Govt     |     

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করছেন ট্রাম্প, দুশ্চিন্তায় অভিবাসীরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-11-08, 6:55pm

gdfghfgh-b1c3feb6804847d65be1bcb5c510671b1731070540.jpg




প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ বন্ধ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দায়িত্ব নেওয়ার দিনই এ সংক্রান্ত আইন বাতিলে নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের যৌথ ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক নির্বাহী আদেশের একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই নির্বাহী আদেশ যদি বাস্তবায়িত হয় তবে কেবল যারা অবৈধ অভিবাসী তাদের সন্তানই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ হারাবে না। পাশাপাশি, যারা নাগরিক হওয়ার প্রাথমিক ধাপ ‘গ্রিন কার্ড’ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারাও প্রভাবিত হবেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হবে যে, অনাগত সন্তানদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য পিতা-মাতার অন্তত একজনকে মার্কিন নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

ট্রাম্প-ভ্যান্সের নির্বাহী আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, এটি মার্কিন সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে অভিবাসন আইনজীবীরা মনে করেন, এটি ঠিক নয়। তারা বলছেন, নির্বাহী আদেশ এই আইন পাস হলে তারা বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন।

নির্বাহী আদেশের পর এটি আইন হিসেবে পাস হলে, তা বাংলাদেশি ও ভারতীয় প্রবাসীদের জন্য এক বিশাল ধাক্কা হয়ে দেখা দেবে। গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চের বিশ্লেষণ অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৮ লাখ ভারতীয় আমেরিকান আছে। যাদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ বা ১৬ লাখ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে। নতুন আইন হলে, এই অভিবাসীদের অনেকেই আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক হতে পারবেন না।

অভিবাসন সংক্রান্ত ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার কারণে বেশি দুশ্চিন্তায় আছেন দেশটির বৈধ কাগজপত্র বিহীন অর্ধলক্ষাধিক বাংলাদেশি দম্পতি। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় ভুগছে দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে বৈধতার জন্য আইনি লড়াই করা অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার।

অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে তার কিছু করার নেই। তাদের তিনি ফেরত পাঠাবেনই।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেন, অবৈধদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি কোনো পণ্যের মূল্যতালিকা নয়। এটি সত্যিই এমন কিছু নয়। আমাদের আসলে কিছু করার নেই। যখন কেউ খুন ও হত্যা করে, যখন মাদক সম্রাটরা দেশকে ধ্বংস করেছে, তখন তাদের সেসব (নিজ) দেশে ফেরত যেতে হবে। কারণ তারা আর এখানে থাকবে না।

ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি রাজীব এস খান্না বলেন, ‘ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের জন্য কোনও স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দেয় ৷ এটি প্রায় নিশ্চিতভাবে মার্কিন সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। ট্রাম্পের ভুল ব্যাখ্যার মোকাবিলায় সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করি।’

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের মার্চ নাগাদ আমেরিকার অভিবাসন প্রক্রিয়ার কর্মসংস্থানভিত্তিক ‘গ্রিন কার্ডের’ অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ভারতীয়র সংখ্যা এক মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক কেটো ইনস্টিটিউটের অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক ডেভিড বিয়ার এই তথ্য দিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, মৃত্যু ও বয়স উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে কিছু ভারতীয় এ তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। নতুন আইন পাস হলে, এসব কারণ বিবেচনায় নিলে বলা যায়—এসব ভারতীয়দের গ্রিন কার্ডের জন্য অপেক্ষার সময় হবে ৫৪ বছর। আর যদি এসব কারণ বিবেচনা না করা হয়, তবে অপেক্ষা হতে পারে ১৩৪ বছর। এই দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষায় ৪ লাখ ১৪ হাজার ভারতীয় মারা যাবেন এবং ১ লাখের বেশি ভারতীয় শিশু ২১ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নির্ভরশীল ভিসা বা ‘ডিপেনডেন্ট ভিসার’ বৈধতা হারাবে এবং গ্রিন কার্ডের তালিকা থেকে বাদ পড়বে। আরটিভি