অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের প্রবণতা কমলেও ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে মহাদেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটে এই প্রবণতা ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত ও উপকূল সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুমাসে ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি।
কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুট ইউরোপে প্রবেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। লিবিয়া হয়ে উঠছে ইউরোপযাত্রার মূল কেন্দ্র। কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পাচারকারীরা ব্যবহার করছে শক্তিশালী স্পিডবোট। এই পথে সমুদ্র পারাপারের জন্য জনপ্রতি নেয়া হয় ৫ থেকে ৮ হাজার ইউরো।
অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রা বড় ধরণের ঝুঁকিও তৈরি করছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জীবনে। কারণ তাদের অনেকেই সংগঠিত অপরাধ চক্রের মাধ্যমে এই পথে ইউরোপে যাত্রা করেন।
সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই রুটে ৬ হাজার ৮৬৩ জন সমুদ্র পথে ইউরোপে আসার চেষ্টা করেছেন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় অনেক কম। ওই বছর একই সময় প্রায় ১২ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। বর্তমানে মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সক্রিয় রুট।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএমের অনুমান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ২৪৮ জন মারা গেছেন এই পথে। গেল বছর এই সংখ্যা পৌঁছেছিল ২ হাজারের ওপরে। তথ্য সূত্র সময়।