News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

পিছিয়ে পড়েও টাইব্রেকার ভাগ্যে সেমিতে ইংল্যান্ড

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2024-07-07, 7:23am

img_20240707_072325-4a3209f20193fba70a73f54833cc48471720315424.jpg




শক্তিমত্তার বিচারে বিশ্ব ফুটবলের পরাশক্তি বলে বিবেচিত হলেও মেজর টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের সাফল্য বলতে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়। ৫৮ বছর ধরে আর কোনো বড় শিরোপা নেই ফুটবলের জন্মদাতাদের। বড় টুর্নামেন্ট এলেই শিরোপার জন্য মুখিয়ে থাকে ব্রিটিশরা, কিন্তু বরাবরই তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেন ভাগ্য বিধাতা। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই লাগাতার উন্নতি করছে ইংল্যান্ডের নতুন প্রজন্মটি; কিন্তু সাফল্য এখনও অধরা। সবশেষ গত ইউরোর ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও শেষমেষ টাইব্রেকার ভাগ্যে রানার্সআপ হতে হয় তাদেরকে। এবারেও ইউরো জয়ের মিশনে এসে সুইজারল্যান্ডের সামনে শেষ হয়ে যেতেই বসেছিল সাকা, কেইন ও বেলিংহ্যামদের যাত্রা। কিন্তু পিছিয়ে পড়েও দ্রুত গোল শোধ করে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার ভাগ্যে বেঁচে গেল ইংলিশদের স্বপ্ন। সুইসদের স্বপ্নযাত্রা ভঙ্গ করে সেমিফাইনালে পা দিলো গ্যারেথ সাইথগেট শিষ্যরা।

ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের আজকের ম্যাচে বেশিরভাগটা জুড়েই চাপে ছিল ইংলিশরা। একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন ইংলিশ আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র হ্যারি কেইন। ম্যাচের একটা পর্যায়ে ইংলিশ গ্যালারি থেকে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার স্লোগানও শুরু হয়ে যায়। প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারছিলেন না ইংলিশ আক্রমণভাগের নতুন জাদুকর জুড বেলিংহামও।

পুরো ৯০ মিনিট ইংল্যান্ডকে ম্যাচে রাখেন মূলত বুকায়ো সাকাই, যার টাইব্রেকার মিসে গতবারের ইউরো ফাইনালে কপাল পুড়েছিল ইংলিশদের। বেশ কয়েকবারই বল নিয়ে সুইজারল্যান্ড রক্ষণে হুমকি তৈরি করেন এই আর্সেনাল ফরোয়ার্ড।

ম্যাচে প্রথম গোল অবশ্য সুইজারল্যান্ডই করেছে। ৭৫ মিনিটে রুবেন ভারগাস বক্সের এক পাশ থেকে গোলমুখে যে বলটি বাড়ান, ইংলিশ সেন্টারব্যাক জন স্টোনস কেবল সেটিতে পা–টাই ছোঁয়াতে পেরেছেন, বলের গতিপথ বদলাতে পারেননি। আর তাতেই একেবারে সহজ সুযোগ পেয়ে যান সুইস ফরোয়ার্ড ব্রিল এমবোলো। কোনোরকম ভুল না করে বলটাকে জড়িয়ে দেন ইংলিশদের জালে।

গোল হজমের পর দ্রুত কোল পালমার, এবেরেচি এজে ও লুক শকে বদলি হিসেবে নামান কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এর সুফলও পেয়ে যান মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে। ডান পাশ থেকে আর্সেনাল সতীর্থ ডেকলাইন রাইসের বাড়ানো বল ধরে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল সুইসদের জালে পাঠান সাকা।

সমতা আনার পর ইংল্যান্ডের আক্রমণেও ধার বাড়ে। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাকি সময়ে এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো দলই আর গোল আদায় করতে পারেনি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর এ পর্যায়েই পার্থক্য গড়ে দেন অভিজ্ঞ ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। আটকে দেন মানুয়েল আকাঞ্জির শট। এই সেভই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

শেষ শট নিতে এসে জালে জড়িয়ে বলটা ফিরে আসতেই হাতে তুলে নিয়ে জোরালো এক কিকে গ্যালারিতে উড়িয়ে পাঠালেন ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আর্নল্ড। যেন ১২০ মিনিট ধরে জেঁকে বসা চাপটা এক লাথিতে দূরে কোথাও পাঠাতে চাইলেন তরুণ ইংলিশ রাইটব্যাক। তার শেষ শটেই সুইসদের ৫–৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিলো ইংল্যান্ড। আরটিভি নিউজ।