শুধু আর্জেন্টিনার নয়, বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি। অসাধারণ সব পারফরম্যান্স আর একের পর এক অর্জনে নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তির পর্যায়ে। ক্লাব পর্যায়ে সব শিরোপার স্বাদ পূরণ করা এ তারকা জাতীয় দলেও নিজের ট্রফি খরা পূরণ করেছেন তিন বছর আগে।
দেশের হয়ে মেসির ফিফা বিশ্বকাপ, জোড়া কোপা আমেরিকা জয়ের সাক্ষী ছিল তার সন্তানরাও। বিশ্ব ফুটবলে মেসির অবস্থান কোথায়, বয়সের কারণে সিরো (ছোট ছেলে) কিছুটা কম আঁচ করলেও ভালোভাবেই জানার কথা থিয়াগো ও মাতেও’র (বড় ও মেঝো ছেলে)।
কিন্তু তার পরও মেসিকে নাকি উপদেশ দিতে ছাড়েন না তার সন্তানরা। সমালোচনা করেন তার খেলারও। বিশ্বের অনেক বড় ফুটবল বিশ্লেষকরাও যেটা সাহস করেন না, সেটা করে মেসির সন্তানরাই। এমনই মজার এক গল্প শেয়ার করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা নিজেই।
সম্প্রতি ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আমি সব সময় আমার বাচ্চাদের সঙ্গে ফুটবল খেলি। তারা আমাকে উপদেশ দেয় এমনকি আমার একটি খেলা দেখে সমালোচনাও করেছিল।’
মেসির বড় সন্তান থিয়াগোর বয়স ১১ বছর। আগামী ২ নভেম্বর তার বয়স পেরোবে ১২। মেঝো ছেলের বয়স পেরিয়ে ৯ বছর। আর ২০১৮ সালে জন্ম নেয়া সিরোর বয়স সবে ৬ বছর।
২০০৪ সালে পেশাদার ফুটবলে পাড়ি দেয়ার পর বার্সেলোনার হয়ে ৫ বছরের মধ্যে ক্লাব পর্যায়ের সব শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রফি খরায় ভুগছিলেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে বড় কোনো শিরোপাই জেতা হয়নি তার। অবশেষে ২০২১ কোপা আমেরিকা জয়ের স্বাদ পান মেসি। ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনার ট্রফি খরা কাটে। এরপর ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ জয়, ২০২৪ সালে এসে আবার কোপা আমেরিকা জয়। যার সবকিছুরই সাক্ষী হয়েছে তার তিন সন্তান।
ফুটবলের কাছে আপাতত মেসির চাওয়ার কিছু নেই। ৩৭ পেরোনো এ তারকা যতদিন মাঠে থাকবেন, বাকিটা সময় কেবল উপভোগ করে যেতে চান। সময় সংবাদ