
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে দেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় বিগত অর্থবছরের বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানি আয় ০.০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১৩ কোটি ১৩ লাখ ডলারে। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে মাসে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬১১ কোটি ৭১ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ৮৮৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ১ শতাংশ কমেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে এ আয় ছিল ৮৯৪ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
এছাড়া ৭২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে এ আয় ছিল ৭১৭ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
এদিকে সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ।
অন্যদিকে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ২ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি বাড়লেও কৃষি পণ্যের কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে।
আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জুলাই-নভেম্বর মাসে রফতানি হয়েছে ৫১ কোটি ২৪ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। তবে কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ১৬ লাখ ডলারে।
এদিকে সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।