News update
  • Guterres Urges Action as Peace Remains Elusive in a Fractured World     |     
  • Why inclusion matters for tackling corruption     |     
  • JS polls to be held by February 15: Shafiqul Alam     |     
  • Myanmar Faces War, Disasters, Hunger, and Mass Displacement     |     
  • UN Warns Israeli Doha Strike Risks Regional Escalation     |     

চাঁদে শব্দ আবিষ্কারের নাসা-র মিশনে ব্যবহার হবে ভারতীয় বিজ্ঞানীর তৈরি যন্ত্র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2024-02-06, 8:09am

01000000-0a00-0242-99ae-08dc2687cb27_w408_r1_s-1-439668103509292442fd329ad9a6dd681707185363.jpg




চাঁদে শব্দ আছে। সেই শব্দ আবিষ্কারের জন্য নাসার নতুন মিশন ‘আইএম-১’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এক নতুন যন্ত্র বসিয়ে দেওয়া এখন নাসা-র লক্ষ্য। চলতি বছর ও আগামী কয়েক বছরে চাঁদে একাধিক অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে নাসা-র।

নাসা-র নতুন মিশনে ব্যবহার হতে চলেছে ভারতীয় বিজ্ঞানীর তৈরি যন্ত্র। নাসা+র গড্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ভারতীয় বিজ্ঞানী ড. নাতচিমুথুক গোপালস্বামী এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন। এই যন্ত্রের কাজ হল চাঁদের রেডিও তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করা। এই যন্ত্রের পোশাকি নাম ‘রেডিও ওয়েভ অবজারভেশন অ্যাট লুনার সারফেস’।

চাঁদের মাটিতে ইলেকট্রনদের শব্দ শুনবে এই যন্ত্র। সৌরবায়ু চাঁদের বুকে কীভাবে শব্দ তোলে সেই আওয়াজ রেকর্ড করবে যন্ত্রটি। রাত্রিবেলা অন্ধকারে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কীভাবে শব্দের সৃষ্টি হয়, তা শুনবে নাসার যন্ত্রটি।

এই যন্ত্রের উচ্চতা ৮ ফুটের মতো। চাঁদের মাটিতে যন্ত্রটি গেঁথে বসিয়ে দেওয়া হবে। দিনে-রাতে সমানভাবে কাজ করবে ওই যন্ত্র।

মহাকাশের স্বাভাবিক নিয়মেই রেডিও তরঙ্গের জন্ম হয় চাঁদে। যেমনভাবে বৃহস্পতি, মঙ্গল, ছায়াপথের বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে রেডিও রশ্মিরা বিচ্ছুরিত হয় মহাকাশে। এই তরঙ্গের নিজস্ব শব্দ আছে। চাঁদে অনেক সময়ে প্রবল বেগে সৌরঝড় আছড়ে পড়ে। সৌরবায়ুরও শব্দ আছে।

ভারতীয় বিজ্ঞানী গোপালস্বামী জানিয়েছেন, ব্রহ্মাণ্ডের কোনও প্রান্তে চলছে কোনও ব্ল্যাকহোলের শব্দ, আবার কোথাও মহাজাগতিক মেঘ জমাট বেঁধে শব্দ তুলছে মহাকাশে। নাসা সেইসব শব্দ শোনে বিশেষ প্রযুক্তিতে যার নাম ‘সোনিফিকেশন’। এতদিন পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে নানা কিছু খুঁজেছে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

বিজ্ঞানী গোপালস্বামী আরও বলেছেন, "প্রতিটি গ্রহ-উপগ্রহেরই নিজস্ব শব্দ আছে। চাঁদকে সারাক্ষণ নানা দেশের চন্দ্রযানের অরবিটার, তাদেরও শব্দ প্রতিধ্বনি তুলছে চাঁদে। চাঁদের মাটির (রেগোলিথ) অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। উত্তেজিত হয়ে উঠছে ইলেকট্রনেরা। ধুলোর ঝড় উঠছে চাঁদে। এই ঝড় বইবার শব্দ রেকর্ড করেনি কেউ। কারণ সেই প্রযুক্তি ছিল না। নাসা-র 'আইএম-১' মিশনে চাঁদের শব্দ শোনাই হবে কাজ। আর যদি কোনও রহস্যময় শব্দ, ধ্বনি বা প্রতিধ্বনি সেই যন্ত্রের শব্দফাঁদে আটকে যায়, তাহলে তা হবে নতুন আবিষ্কার। নতুন করে চাঁদকে নিয়ে ভাবনা শুরু হবে বিজ্ঞানীমহলে।" তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।