News update
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     

ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2024-04-27, 7:03am

images-31-a577e40c6939f189a63e46952fe340a61714179911.jpeg




তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ২০২১ সালের এক আইন কার্যকর করতে চাইছে ভারত সরকার। সে আইন অনুসারে হোয়াটসঅ্যাপকে তার এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নীতি ভঙ্গ করে ইউজারদের তথ্য ও তাদের বার্তাগুলো দিতে বলা হয়েছে সরকারকে। কিন্তু ভারত সরকারের এ নির্দেশনা মানতে রাজি নয় হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। আর তাই তারা আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্ত হয়েছে আদালতের।

দিল্লি হাইকোর্টে মেটার মুখপাত্র তেজস করিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমাদের যদি এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয় তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করতে হবে। কারণ, মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে শুধুমাত্র তার গোপনীয়তা নীতির জন্য।

প্রসঙ্গত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হলো এমন একটি প্রাইভেসি ফিচার যা অনেক বছর ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের দিয়ে আসছে। এটির সুবিধা হল প্রেরক বা সেন্ডার যা পাঠাচ্ছেন তিনি এবং যিনি রিসিভ করছেন অর্থাৎ প্রাপক- এ দুজন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। সেটা মেসেজই হোক কিংবা ছবিই হোক। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ করা হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপকে চ্যাটগুলো ট্রেস করতে এবং বার্তাগুলো যারা পাঠিয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটি তাদের প্রাইভেসি পলিসি বা এনক্রিপশন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে। পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন করে। তাই তারা এই এনক্রিপশন ভাঙতে পারবে না।

কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি হচ্ছে, অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করা জরুরি। যারা সমাজে ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ট্রেস করার জন্য কিছু মেকানিজম বা প্রযুক্তি আনা উচিত। তবে বিষয়টির জটিলতা বুঝতে পেরে প্রাইভেসি ও শনাক্তকরণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। ফেসবুক মালিকাধীন এই অ্যাপের ৯০ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে ভারতে। সুতরাং, দেশটিতে যদি অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটা একটা বড় ঘটনা হবে। অবশ্য, ভারতের বাজার ছাড়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি মেটার পক্ষ থেকে। আরটিভি নিউজ।