News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

ভবিষ্যতে এআই ফোনের বিকাশে নেতৃত্ব দিতে আইজেসিএআই ২০২৪-এ অত্যাধুনিক এআই উদ্ভাবন প্রদর্শন করেছে অপো

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2024-08-21, 12:56pm

ewrewrewr-39dd4b5a71c6c6d4e1e82555e7fd6c0c1724223411.jpg




আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত একাডেমিক সম্মেলন আইজেসিএআই (ইন্টারন্যাশনাল জয়েন্ট কনফারেন্স অন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ২০২৪। এবারের সম্মেলনে অপো এআই সেন্টারের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। অপো এই আয়োজনে বিভিন্ন  অত্যাধুনিক এআই উদ্ভাবন ও এর সুবিধা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে এআই ফোনের উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

আইজেসিএআই ২০২৪ সম্মেলনে অপো এআই সেন্টারের সাম্প্রতিক গবেষণা পত্র "জিরো-শট হাই-ফিডেলিটি অ্যান্ড পোজ-কন্ট্রোলেবল ক্যারেক্টার অ্যানিমেশন" বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও এআইয়ের ক্ষেত্রে অপোর ধারাবাহিক অগ্রগতিকে প্রকাশ করে। 

বর্তমানে ১২ভি (ইমেজ-টু-ভিডিও) ডমেইনের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হল অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যারেক্টার অ্যাপিয়ারেন্স ও নিম্ন মানের ডিটেইল রিটেনশন। এর ফলে ট্রেইনিংয়ের জন্য বেশি পরিমাণে ভিডিও ডেটার প্রয়োজন হয় ও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কম্পিউটেশনাল রিসোর্স ব্যবহৃত হয়। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য অপো এআই সেন্টার নিয়ে এসেছে উদ্ভাবনী জিরো-শট ১২ভি ফ্রেমওয়ার্ক ‘পোজঅ্যানিমেট’। এটি পোজ ইনফরমেশন ব্যবহার করে অ্যানিমেশনের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে এবং সিন কনটেন্টের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখে। এই ফ্রেমওয়ার্ক তিনটি মডিউলের মাধ্যমে মূল কাজগুলো করে থাকে: 

• পোজ-অ্যাওয়ার কন্ট্রোল মডিউল (পিএসিএম): বিভিন্ন পোজ সিগনালকে টেক্সট এমবেডিংয়ে একত্রিত করে ক্যারেক্টারের জন্য অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে ও সঠিকভাবে মুভমেন্টের অ্যালাইনমেন্ট নিশ্চিত করে।  

• ডুয়েল কনসিসটেন্সি অ্যাটেনশন মডিউল (ডিসিএএম): সাময়িকভাবে সামঞ্জস্যতা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্যারেক্টারের বৈশিষ্ট্য ও ব্যাকগ্রাউন্ডের সূক্ষ্ম ডিটেইলস ধরে রাখে। 

• মাস্ক-গাইডেড ডিকাপলিং মডিউল (এমজিডিএম): ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ক্যারেক্টারের ডিকাপলিং করে জেনারেট করা ভিডিওর ফিডেলিটি বাড়িয়ে দেয়। 

অপো’র টিম ক্যারেক্টারের অ্যালাইনমেন্ট ও বাধাহীন ট্রানজিশন নিশ্চিত করতে পোজ অ্যালাইনমেন্ট ট্রানজিশন অ্যালগরিদম (পিএটিএ)-এর প্রস্তাবও দিয়েছে। পরীক্ষামূলক ফলাফলে দেখা যায় যে, ক্যারেক্টার কনসিসটেন্সি ও ডিটেইল ফিডেলিটির জন্য ব্যবহৃত ট্রেইনিং মেথডের চেয়ে পোজঅ্যানিমেট ভালো কাজ করে এবং জেনারেট হওয়া অ্যানিমেশনে হাই টেম্পোরাল কনসিসটেন্সি বজায় রাখে। 

অপো এআই সেন্টারের ড. ইয়াং ঝেনইউ-কে আইজেসিএআই ২০২৪ কনফারেন্সে “জেনারেটিভ এআই ফর স্মার্টফোন: চ্যালেঞ্জেস, অপরচুনিটিস অ্যান্ড প্র্যাকটিস অফ অপো” বিষয়ে প্রেজেন্টেশনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি এআই শিল্পের অংশীদার ও একাডেমির সামনে অপো’র বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোনে কীভাবে দায়িত্ব ও দক্ষতার সাথে এআই প্রযুক্তিকে একীভূত করা যায়, এ ব্যাপারেও তিনি আলোচনা করেন।  

জেনারেটিভ এআইয়ের দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে স্মার্টফোন শিল্প এআই ফোনের একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে অপো এর পণ্যে অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তিকে একীভূত করার মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে স্মার্ট ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিতে চায়।  

অপো এই বছর ফাইন্ড এক্স৭ সিরিজ ও  রেনো ১২ সিরিজের এআই ফোন নিয়ে এসে মোবাইল এআইয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদর্শন করেছে৷ একই সাথে অপো বিশ্বব্যাপী সবার জন্য এআই ফোনের ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করেছে। অপো’র লক্ষ্য হলো এই বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর জন্য এর সব স্মার্টফোনে জেনারেটিভ এআই ফিচার নিয়ে আসে। 

অপো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, একটি সত্যিকারের এআই স্মার্টফোন শুধু হার্ডওয়্যারের মান বৃদ্ধি করে না, বরং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি নিয়ে আসে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অপো একটি শক্তিশালী এআই সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে এবং গুগল, মাইক্রোসফট ও মিডিয়াটেকের মতো শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সাথে অংশীদারিত্ব করেছে। হাইব্রিড (অন-ডিভাইস ও ক্লাউড) মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল ডিভাইসে এআইয়ের উদ্ভাবনী ব্যবহারকে এগিয়ে নিতে অপো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

এছাড়াও, অপো নিয়মিত শীর্ষ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক এআই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে এর গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে ও সংশ্লিষ্ট একাডেমিক কমিউনিটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখে। এভাবে শিল্প খাতের উন্নয়নের দিকনির্দেশনায় ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামীতে গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ মানের এআই ফোনের অভিজ্ঞতা দিতে অপো গ্রাহক-কেন্দ্রীক ও উদ্ভাবনী এআই প্রযুক্তির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিয়ে যাবে।