News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

অপো’র ২ দশক পূর্তিতে ইউনেস্কোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2024-09-20, 3:53pm

reertert-b6d4aebf85eeba730eb3edb0a56888af1726825990.jpg




প্রযুক্তির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও বৈচিত্র্যের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ইউনেস্কো (জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা) এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে যাচ্ছে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো। অপো’র দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে এই যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারে সহায়তা করার পাশাপাশি তরুণ সমাজকে নতুন আবিষ্কার ও বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে অনুপ্রাণিত করা হবে। এভাবে ’কানেক্টিং কালচার্স, ইন্সপায়ারিং ফিউচার্স’ অর্থাৎ ‘সংস্কৃতির মেলবন্ধন, আগামীর প্রেরণা”-এর চেতনাকে ধারণ করা হবে। 

ইমেজিং প্রযুক্তির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক শিক্ষার ক্ষমতায়ন এবং ‘কালচারাল ডোনেশন’-এর আহ্বান

এই অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে অপো আফ্রিকা ও এশিয়ার স্থানীয় তরুণদের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য ১ হাজার অপো ট্যাবলেট দান করবে। এই ডিভাইসগুলোতে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামিং কোর্স থাকবে, যা ইউনেস্কো এবং শিশুদের প্রোগ্রামিং  এডুকেশন ব্র্যান্ড কোডমাও-এর যৌথ উদ্যোগে চালু করা ‘ইয়ুথ কোডিং ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যোগটির লক্ষ্য হলো প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ ব্যবহারকে প্রচার করা, আফ্রিকা ও এশিয়ায় সুষ্ঠু শিক্ষার উন্নয়ন এবং ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা।

ইউনেস্কোর প্রায়োরিটি আফ্রিকা অ্যান্ড এক্সটার্নাল রিলেশন্স এর অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর জেনারেল ফারমিন ই. মাতোকো বলেন, “তরুণদের উদ্ভাবন ও শিক্ষার অগ্রগতিতে অপো’র অঙ্গীকার সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি নিশ্চিত যে, ইউনেস্কোর লক্ষ্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী অপো’র নতুন এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আফ্রিকা ও এশিয়ার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা আরও বেশি উপকৃত হবে।” ইউনেস্কো’র প্রক্রিয়াগত পর্যালোচনা শেষ হলে এই উদ্যোগটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। ইউনেস্কো’র জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় কমিশন অপো’র এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে।

কালচারাল ডোনেশনের পাশাপাশি অপো #CaptureMyCulture শীর্ষক একটি বৈশ্বিক ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এটি বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের স্থানীয় ঐতিহ্য উদযাপনের ছবি ও গল্প শেয়ার করার মাধ্যমে সংস্কৃতি সংরক্ষণে অবদান রাখতে উৎসাহিত করে থাকে। এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীরা ডোনেশনের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখার সুযোগও পাবেন।

সাংস্কৃতিক সংরক্ষণে অপো’র অব্যাহত প্রতিশ্রুতি

ইউনেস্কোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের বাইরেও সাংস্কৃতিক শিক্ষায় আরও বিস্তৃত পরিসরে অপো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছে। এ বছরের শুরুতে অপো ডিসকভারি চ্যানেলের সঙ্গে যৌথভাবে ‘কালচার ইন আ শট’ প্রকল্প চালু করেছে। ইমেজিং প্রযুক্তির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এই বৈশ্বিক উদ্যোগটি। এই প্রকল্পে নিরলসভাবে কাজ করা বিভিন্ন ব্যক্তির প্রচেষ্টাগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। যেমন- থাইল্যান্ডের লিসু গোষ্ঠী তাদের ঐতিহ্যকে সঙ্গীতের মাধ্যমে সংরক্ষণ করছে; ইন্দোনেশিয়ার কারিগররা স্থানীয় ঐতিহ্যের চিত্রায়ণে প্রাচীন বাটিক শিল্পচর্চা করছেন; এবং স্পেনের ফ্লামেনকো নৃত্যশিল্পীরা তাদের শিল্পের মাধ্যমে আন্দালুসিয়ান সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। প্রতিটি গোষ্ঠী তাদের স্বতন্ত্র শিল্পরূপের মাধ্যমে অনন্য সাংস্কৃতিকে তুলে ধরছে।

এর পাশাপাশি রেনো১২ সিরিজে এআই স্টুডিও চালু করেছে অপো। এর মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা স্টুডিওর সমমানের পোর্ট্রেট তৈরি করতে পারবে। যেমন, এর মাধ্যমে একজনের ছবিকে ফ্লামেনকো নৃত্যশিল্পীর রূপ দেওয়া যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা যেকোনো জায়গা থেকে সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।

সাংস্কৃতির সংরক্ষণ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে অপো এআই ও ইমেজিং প্রযুক্তির দক্ষতা ব্যবহার করে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সীমা অতিক্রম করে চলেছে। সৃজনশীলতার প্রকাশ ও স্টোরিটেলিং টুল সরবরাহ করে অপো একইসঙ্গে সংস্কৃতির সংযোগ স্থাপন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করছে। 

২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অপো ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ বা “মানুষের জন্য প্রযুক্তি, পৃথিবীর জন্য মানবতা” মিশন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভবিষ্যতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অপো সমাজে ইতিবাচক প্রভাব আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বৈশ্বিক সংস্কৃতির উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে অপো সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ ও তরুণদের শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অপো’র দুই দশক পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত #CaptureMyCulture ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের জন্য ছবি বা গল্প জমা দেওয়া যাবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত।