প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখন ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এর অপব্যবহারও বাড়ছে। ভুয়া ছবি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতারণা, বিভ্রান্তি এবং ভুয়া তথ্য প্রচারের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এআই-তৈরি ছবি চেনা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলে সহজেই এআই-জেনারেটেড ছবি শনাক্ত করা যায়।
অস্বাভাবিক হাত ও আঙুল
এআই দিয়ে বানানো ছবিতে মানুষের হাত ও আঙুলে প্রায়ই অসামঞ্জস্য দেখা যায়। আঙুলের সংখ্যা বেশি বা কম হতে পারে, আকারে বিকৃতি থাকতে পারে কিংবা বাঁক অস্বাভাবিক দেখাতে পারে। অনেক সময় ছয় আঙুলও দেখা যায়।
চোখে অদ্ভুততা
মানুষের চোখের প্রতিচ্ছবি অত্যন্ত সূক্ষ্ম। অথচ এআই-তৈরি ছবিতে চোখের আকার, রং বা মণির মাপ অস্বাভাবিক হতে পারে। চোখে প্রতিচ্ছবি অনুপস্থিত থাকতে পারে কিংবা চোখের চারপাশের ভাঁজ অপ্রাকৃতিক লাগতে পারে।
এআই ছবি সাধারণত বাস্তবসম্মত পটভূমি তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। অনেক সময় গাছপালা, যানবাহন কিংবা রাস্তার দৃশ্যে অস্বাভাবিক পুনরাবৃত্তি দেখা যায়। কোথাও কোথাও ছবিকে জোড়া লাগানো মনে হয়।
ঝাপসা ছোটখাটো উপাদান
চশমার ফ্রেম, কানের দুল, কাপড়ের নকশা বা ঘড়ির ডায়াল এসব ছোটখাটো উপাদান এআই সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে না। ফলে এগুলো ঝাপসা বা বিকৃত দেখা যায়। চুল, দাঁত কিংবা ত্বকও অনেক সময় অস্বাভাবিকভাবে মসৃণ হয়।
আলোর উৎস ও ছায়ার অসংগতি
একই ছবিতে একাধিক ছায়া দেখা যাওয়া বা ছায়ার অদ্ভুত আকার হওয়া এআই-তৈরি ছবির বড় লক্ষণ। আলোর উৎসও বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না।
শনাক্তকরণ টুলের ব্যবহার
কেবল পর্যবেক্ষণ নয়, এআই-তৈরি ছবি শনাক্ত করার জন্য অনলাইন টুলও ব্যবহার করা যায়। যেমন—AIornot.com বা TinEye.com সাইট ছবি বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দেয় ছবিটি বাস্তব নাকি কৃত্রিম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কৌশল জানা থাকলে এআই-তৈরি ভুয়া ছবি সহজে শনাক্ত করে প্রতারণা ও বিভ্রান্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। সূত্র: পিসি ম্যাক