
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক শুধু বিনোদন বা অবসর কাটানোর মাধ্যম নয়, বরং আয়েরও একটি বড় উৎস। তবে অনেক ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, আগের মতো ফেসবুক থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করা এখন সম্ভব নয়। বিশেষ করে রিলস ও ভিডিও মনিটাইজেশনের ক্ষেত্রে আয় অনেকটাই কমে গেছে।
এটির মূল কারণ হলো মেটা (Facebook/Instagram) কনটেন্ট মনিটাইজেশনের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। স্প্যামি বা কপিরাইটযুক্ত কনটেন্টের বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থানে এসেছে। ফলে পুরোনো ইন-স্ট্রিম অ্যাডস এবং বোনাস প্রোগ্রামগুলো নতুন “কনটেন্ট মনিটাইজেশন” সিস্টেমের আওতায় এসেছে।
অনেক ক্রিয়েটর অভিযোগ করেছেন, এই পরিবর্তনের ফলে তাদের আয় কমে গেছে।
আয় কমার কারণ
১. নতুন মনিটাইজেশন পদ্ধতি:
ফেসবুক এখন সব ভিডিওকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রিলস’ হিসেবে গণ্য করছে। পুরোনো ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিলস বোনাস ইত্যাদি আলাদা পদ্ধতি মিশিয়ে ‘কনটেন্ট মনিটাইজেশন’ নামে একটি একক সিস্টেমে আনা হয়েছে। ফলস্বরূপ, অনেকের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
২. বোনাস ফান্ডের সমাপ্তি:
রিলস মনিটাইজেশনের জন্য যে ১ বিলিয়ন ডলার বোনাস ফান্ড ছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন ক্রিয়েটরদের আয় মূলত বিজ্ঞাপনের শেয়ারের ওপর নির্ভর করছে।
৩. স্প্যাম ও কপিরাইট:
অন্যের কনটেন্ট কপি করা বা স্প্যামি ভিডিও আপলোড করলে মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কনটেন্টের রিচও কমছে এবং আয়ও প্রভাবিত হচ্ছে।
৪. ব্যবহারকারীর আচরণ পরিবর্তন:
প্রতিদিনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং নতুন প্ল্যাটফর্ম যেমন টিকটক-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে সামগ্রিক বিজ্ঞাপনের বাজারও প্রভাবিত হচ্ছে।
সমাধান ও পরামর্শ
১. অরিজিনাল এবং উচ্চমানের কনটেন্ট তৈরি করুন, যা মেটার নতুন নিয়ম মেনে চলে।
২. অন্যের কনটেন্ট কপি করা থেকে বিরত থাকুন।
৩. আয় কমে গেলে সমস্যা নিয়ে মেটার সাপোর্ট টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৪. সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরুন এবং নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট আপলোড করুন।