News update
  • Italian PM Giorgia Meloni to Visit Bangladesh on Aug 30-31     |     
  • BNP to Get 38.76% Votes, Jamaat 21.45%, NCP 15.84%     |     
  • Bangladesh’s Democratic Promise Hangs in the Balance     |     
  • World War III to start with simultaneous Xi, Putin invasions?      |     
  • Election delay anti-democratic, against July-August spirit      |     

সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2023-06-07, 6:58am

resize-350x230x0x0-image-226482-1686072851-a613dc1da26b248ee0a89d6093342d2a1686099517.jpg




লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় জনরোষের আশঙ্কা করছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা। তবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সবাইকে আশ্বস্ত করে সপ্তাহ দুয়েক ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সংসদের বৈঠকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি গুরুত্ব পায়।

সম্পূরক বাজেটে বিদায়ী অর্থবছরে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মঞ্জুরি দাবি করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তার এই দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন বিরোধী দলের ১০ সদস্য। তবে আলোচনায় অংশ নেন পাঁচজন, অন্যরা ছিলেন অনুপস্থিত।

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এখন ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হচ্ছে, এটি আরও বাড়বে। গণমাধ্যমে দেখা গেছে, ৯০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ এসেছে। ২০ হাজার কোটি টাকা এখনও বাকি আছে। কেন এত ক্যাপাসিটি চার্জ হয়? কেন চুক্তি এভাবে করা হলো যে, ক্যাপাসিটি চার্জ দিতেই হবে?

তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ ছিল না, খাম্বা ছিল। এখন বিদ্যুৎ আছে খাম্বা নেই। মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। মুঘল আমলে মানুষ যে কষ্টে ছিল, এখন তার চেয়ে বেশি কষ্টে আছে। সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যের একটি জায়গা ছিল বিদ্যুৎ। সেটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেল। এ থেকে জনরোষের সৃষ্টি হবে।

জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ বিভাগ হুমকির মধ্যে পড়েছে। ১০ বছর পরে আমাদের গ্যাসও শেষ হয়ে যাবে। জাপার রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে; কিন্তু মন্ত্রীর কোনো কথা নেই। গণশুনানি করে বিষয়টি জানাতে হবে। কোথায় অব্যবস্থাপনা রয়েছে, সেটা দেখতে হবে।

সমালোচনার জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কভিড অনেক ক্ষতি করেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যগতভাবে স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে। কারণ আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই। আগে ১৬ ঘণ্টা থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না, সেখান থেকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। বর্তমান বিদ্যুৎ সংকট আকস্মিক। যেকোনো মুহূর্তে ২০ থেকে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব। এর জন্য দরকার জ্বালানি। করোনার কারণে প্রতিটি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সারাবিশ্বে সব কিছুর দাম বেড়ে গিয়েছিল। গ্যাস ও তেল পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পরও কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি রাখা যায়, তার চেষ্টা চলছে। কত সাশ্রয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ দিতে পারব– সেটা চ্যালেঞ্জ। বিশ্ববাজারে কখন কী হবে, ধারণা করা যাচ্ছে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দিনের বেলায় ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যাচ্ছে। পিক আওয়ারে সন্ধ্যায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে। লোডশেডিং বেশি দিন থাকবে না। এই আকস্মিকতার জন্য আমারা দুঃখ প্রকাশ করেছি।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, অনেকেই বিল দিচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের বিল বাকি আছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। করোনার সময় বিল নেওয়া হয়নি। প্রতিবছর জ্বালানি খাতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। তেলে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু গ্যাসে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এ বছর ২৪ থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি যাবে বিদ্যুৎ খাতে। সরকার সমন্বয় করতে পারত; কিন্তু সেটা করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন সবার কাছে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছায়। এ কারণে সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।

এদিকে, বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা সময়মতো কয়লার জন্য এলসি করতে পারিনি। বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও বর্তমানে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সব কিছুর ওপর চিন্তা করে আমরা সময় মতো কয়লা আনতে পারিনি। এ কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্লান্ট চালু হবে। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে, রামপাল চলছে, এসএস পাওয়ার চালু হয়ে যাবে। আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনছি। আরও নিয়ে আসব। কিন্তু বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের অর্থের জোগান নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এটি বেশি দিনের জন্য নয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের দিকে ও নিজের দেশের দিকে তাকিয়ে যদি আমরা ধৈর্য ধরি তাহলে যে সমস্যা দেখতে পাচ্ছি, সেটা পার হতে পারব।

এ ছাড়াও মধ্যরাতে বিশাল বিদ্যুতের ব্যবহার হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আগে ছিল না। অটোরিকশার জন্য অনেক বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু সেগুলো বন্ধ করা হয়নি। ৪০ লাখের মতো অটোরিকশা আছে দেশে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।