News update
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     

থই থই কাপ্তাই হ্রদ, বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2024-08-23, 8:48pm

rewtewtewt-a0b7e4e5388c604c12e0eadcde399bb41724424609.jpg




কদিনের একটানা ভারি বর্ষণে বৃদ্ধি পেয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি। হ্রদের পানি বাড়ায় কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে। আজ শুক্রবার ২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা এই মৌসুমে  সর্বোচ্চ উৎপাদন বলে জানিয়েছে কাপ্তাই  পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য মতে, কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৩০ থেকে সর্বোচ্চ ২৪২ মেগাওয়াট। কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ায় গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাত্র একটি ইউনিট থেকে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। যা সর্বনিম্ন উৎপাদনে গিয়ে ঠেকে।

বর্তমানে ১নং ইউনিট থেকে ৪৬ মেগাওয়াট, ৩নং ইউনিট থেকে ৪৯ মেগাওয়াট, ২নং, ৪নং ও ৫নং ইউনিট থেকে যাথাক্রমে ৪০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ১ নং ও ২নং ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। আর ৩, ৪, ৫নং ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি ও নানা বাস্তবতায় এখন আর সর্বোচ্চ ২৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয় না।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই হ্রদে পানি না থাকায় গেল মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমে এসেছিল ২৫ মেগাওয়াটে। জুলাই ও আগস্ট মাসে কয়েক দফা বৃষ্টিতে হ্রদের পানি বেড়ে যায়। এতে পর্যায়ক্রমে সব কটি ইউনিট চালু করা সম্ভব হয়। বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটেই বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। আজ এই উৎপাদন বেড়ে ২১৮ মেগাওয়াট হয়েছে, যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ।

ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল ( মিন সি লেভেল)। বর্তমানে হ্রদে পানির উচ্চতা রয়েছে ১০৬ দশমিক ০৩ ফুট এমএসএল। সাধারণত পানির উচ্চতা ১০৮ ফুটে এর বেশি হলে আমরা গেইটগুলো খুলে দিয়ে থাকি।

ব্যবস্থাপক আরও বলেন, গেট খুলে দেওয়ার আগে সবসময়ই আমরা কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌবাহিনীকে চিঠি দিয়ে অবহিত করি এবং এরপর তারাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। আমরা মাইকিং বা প্রচার করি না, যা করার তারাই করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অপপ্রচার বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এই প্রকৌশলী, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল আচরণ করার পরামর্শ দেন সবাইকে।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার কারণে আজ সকালে ডুবে গেছে ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি। সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সেতুর পাটাতন ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও তলিয়ে যাচ্ছে সেতুটি। সাধারণত ১০৮ এমএসএল পানি উঠলে দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে চলে যায় সেতুটি। এনটিভি