News update
  • Young disabled people of BD vow to advocate for peace     |     
  • World Leaders Urged to Defend Human Rights and Justice     |     
  • Vegetable prices remain high, people buy in small quantities     |     
  • Off-season watermelon brings bumper crop to Narail farmers     |     
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     

বকেয়া পাওনা নিয়ে বাংলাদেশকে কঠোর বার্তা আদানি গোষ্ঠীর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2024-09-09, 5:48pm

etertretwtw-c9ca11bab422547716079e42a3cf24021725882495.jpg




বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুতের বকেয়া বাবদ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলার পাওনা আদানি পাওয়ারের। বকেয়া অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনোমিকস টাইমস।

এতে বলা হয়, ভারতের ঝাড়খণ্ডের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের গড্ডা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় বাবদ আদানির কাছে বাংলাদেশের বকেয়া ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ডলার হয়েছে। এ পরিস্থিতিকে আদানি গোষ্ঠী ‘টেকসই নয়’ বলে অভিহিত করেছে। মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিক্রির পাওনা বেড়ে চলার প্রেক্ষাপটে ধনকুবের গৌতম আদানির এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী থেকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, আর্থিক চাপ সত্ত্বেও আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য সরবরাহ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তাদের জানিয়েছি যে পরিস্থিতি আর টেকসই পর্যায়ে নেই। কারণ, আমরা একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, অন্যদিকে তেমনই আমাদের ঋণদাতা ও সরবরাহকারীদের কাছে দেয়া অঙ্গীকারও রয়েছে।

বিদ্যুৎ কেনা বাবদ এই বকেয়া মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে জানিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতা নেয়। আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনাসহ শেখ হাসিনার আমলে করা বিভিন্ন ব্যয়বহুল অবকাঠামো চুক্তির সমালোচনা করেছে নতুন সরকার।

তবে অর্থ পরিশোধের এই দায় বাংলাদেশের সার্বিক জ্বালানি সংকটেরই একটি অংশ। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত দায়ের পরিমাণ ৩৭০ কোটি ডলারে উঠেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, আদানি বাংলাদেশের কাছে ৮০ কোটি ডলার পায়, তার মধ্যে ৪৯ কোটি ২০ লাখ ডলার পরিশোধ বিলম্বিত হয়েছে। দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতার কাছে অর্থসাহায্য চাইছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু একই সময়ে জ্বালানি–স্বল্পতায়ও ভুগছে। মূলত গ্যাসের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, সাবেক সরকারের নেয়া খোলা দরপত্র ছাড়াই বিদ্যুৎ কেনার মতো পদক্ষেপ দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ও অদক্ষতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে।

আদানি অবশ্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। তবে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র পুনরায় চালু করা এবং নিয়ন্ত্রণমূলক তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে ড. ইউনূসের প্রশাসন আগের করা জ্বালানি চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছে।

এদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাংলাদেশ থেকে না সরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে আমাদের গড্ডা কেন্দ্র ভারতীয় বিদ্যুৎব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। তাই অন্য কোথাও এই বিদুৎ সরবরাহ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’