News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

বকেয়া বিল না পেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিলো আদানি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2024-11-02, 5:01pm

rtytrytr-40f7f539b9da5d01ea351e4fa4b8c0fb1730545269.jpg




বাংলাদেশের কাছ থেকে বিদ্যুতের পাওনা টাকা না পেয়ে সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে আদানি গ্রুপ। ভারতীয় শিল্প গ্রুপটি বাংলদেশের জন্য তৈরি দুটি ইউনিটের মধ্যে ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে লোডশেডিং বেড়ে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। আদানির কাছে বাংলাদেশের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৮৮৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার বাড়তি দাম ধরে বিদ্যুৎ বিল করছে আদানি। বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে চাপও দিচ্ছে ভারতীয় শিল্প গ্রুপটি। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়েছে তারা। আদানি ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আদানি বিল জমা দিলেই হবে না। বাড়তি দাম দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কয়লার বাড়তি দামের বিষয়টি পিডিবি দেখবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে পেশাদারির সঙ্গে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই চুক্তির বিষয়গুলো দেখা হবে। ইতোমধ্যে চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

অবশ্য গত বছরই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয় কয়লার দাম নিয়ে। কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। তবে এক বছর পর এখন আবার ২২ শতাংশ বাড়তি দাম চাইছে আদানি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশের জন্য নির্মাণ করা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুই ইউনিট থেকে দৈনিক বাংলাদেশকে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল আদানি। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ৭০০ ইউনিটের একটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে দেশে লোডশেডিং বেড়ে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।

পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, গত ২৭ অক্টোবর আদানি বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বিল পরিশোধের দাবি জানায়। চিঠিতে পিডিবির বিশাল অঙ্কের বিল বকেয়া থাকা, ঋণপত্র না পাওয়ার কারণে কয়লা সরবরাহকারী ও কেন্দ্র পরিচালনাকারী এবং ঠিকাদারদের অর্থ পরিশোধে সমস্যার কথা জানায় আদানি। চিঠিতে বলা হয়, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে বন্ধ করে দেওয়া হবে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এরপরও কোনো অর্থ পরিশোধ না করায় গত ৩১ অক্টোবর মধ্যরাতে দুটি ইউনিটের একটি বন্ধ করে দেয় আদানি।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বকেয়া পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছিল আদানি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়ে বিদ্যুতের অর্থ পরিশোধের অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান গৌতম আদানি।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পিডিবি আদানিকে অর্থ দিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ঋণপত্র খোলে। তবে ডলার-সংকটের কারণে সেই ঋণপত্রের অর্থ পরিশোধ করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বিশেষ বন্ড ইস্যু করেছিল। সে সময় বন্ডের মাধ্যমে ২০ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বাজার থেকে নিয়েছিল সরকার। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া দায় পরিশোধের লক্ষ্যে এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ছিল সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক। আরটিভি