News update
  • St Martin’s reopens, but no ships sail as overnight stays banned     |     
  • Chief Adviser directs armed forces to prepare for election security     |     
  • After rain ‘Moderate’ air quality recorded in Dhaka on Sunday     |     
  • Dealers blamed for artificial fertiliser shortage in Rangpur     |     
  • At Least 50 Dead as Caribbean Recovers from Hurricane Melissa     |     

আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2025-04-12, 6:48pm

rteerwer-1afb2a7cf0409974dea6bbb697c88bff1744462121.jpg




ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি হওয়ায় লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে ৮ এপ্রিল আর দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়েছে শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে। 

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড পিএলসি বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও বিদ্যুৎ উন্নয়নের বোর্ড (পিডিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে রোববার থেকে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে। তবে ঘাটতি মেটাতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহ চেয়েছে পিডিবি।

সূত্রের ভাষ্যমতে, আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছিল। ৮ এপ্রিলের পরও ৭৫০ মেগাওয়াটের বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। এখন আর কোনো বিদ্যুৎ আসছে না। তবে, আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় একটি ইউনিট চালু করার কথা রয়েছে।

বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধের জেরে ও বকেয়া শোধ নিয়ে গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে। গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ করে পিডিবি। গত মার্চের শুরু থেকেই দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

পিজিসিবি ও পিডিবি সূত্র জানায়, শনিবার ছুটির দিনে বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম থাকায় বেলা একটা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এ সময় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ত্রুটি মেরামত করে প্রথমে বন্ধ হওয়া ইউনিট দ্রুত চালুর চেষ্টা করছে আদানি। 

তিনি আরও বলেন, দেশে ঘাটতি মেটাতে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাড়তি উৎপাদন করা হচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। জ্বালানির সরবরাহ পাওয়া গেলে চাহিদামতো উৎপাদন করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে পিডিবি। ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ওই বছরের জুনে। তবে, আদানির সঙ্গে পিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি।আরটিভি