গাজায় হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে দল-মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বিকাল ৪টায় মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। যদিও সকাল থেকেই ঢাকার রাজপথ ছিল লোকে লোকারণ্য।
মূল অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রতিনিধিরা।
বিএনপির পক্ষে সালাহউদ্দিন আহমেদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াত ইসলামের হয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, রফিকুল ইসলাম খান, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনসিসির পক্ষে হাসনাত আবদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ স্লোগানের সঙ্গে দলে দলে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। তাদের হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, মুখে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
এ সময় মিজানুর রহমান আজহারি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে অল্প কিছুক্ষণ বক্তব্য দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তার দেওয়া ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে কণ্ঠ মিলান লাখো মানুষ।
এ ছাড়া ‘নারয়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘দিন ইসলাম, দিন ইসলাম’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘আমার ভাই শহীদ কেন, জাতিসংঘ জবার চাই’, ‘ওয়ান টু থ্রী ফোর-জেনোসাইড নো মোর’ বিভিন্ন স্লোগান দেন তিনি।
মঞ্চ থেকে সকলের সম্মিলিত বক্তব্য হিসেবে ঘোষণাপত্র পাঠ করেছে মাহমুদুর রহমান। পরে মোনাজাতের মাধ্যমে ‘মার্চ ফর গাজা’র আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়।আরটিভি