News update
  • Foreign Debt Repayment Hits $4 Billion in Record High     |     
  • Bangladesh Orders 25 Boeing Jets Ahead of Key US Trade Talks     |     
  • Bus ploughs into football match in Cumilla; 1 killed, 5 hurt     |     
  • CA Prof Yunus holding talks with 12 more political parties     |     

ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ শুরু চীনের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2025-07-20, 6:14am

dam-1-2024-12-37ae6e46c2b8380a04c7ec6df4b69a4f-6d1e0a46c91dc79e88ed6908ed63bdf51752970452.jpg




হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ইয়ারলুং জাংবো নদীতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেছে এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ চীন। এই ইয়ারলুং জাংবো নদীই ভারত ও বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নদ নামে পরিচিত। শনিবার (১৯ জুলাই) তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ৬০ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই নদের ওপরই ভারত ও বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। খবর এএফপির। 

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, এই মেগা-বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং উপস্থিত ছিলেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে চীন এই জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায় এবং গত বছরের ডিসেম্বরে বেইজিং এই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

পরিবেশবাদী ও তিব্বতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো অবশ্য ইয়ারলুং জাংবো নদীর উৎসমুখে এই বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার সমালোচনা করছেন। তাদের উদ্বেগ সত্ত্বেও ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে তিব্বতে এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজের গতি বাড়িয়েছে চীন।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বতের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় নিংচি এলাকায় এই বাঁধ নির্মাণ হবে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ তিব্বতের স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি চীনের অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হবে।

যদি এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়, তাহলে এটি চীনের মধ্যাঞ্চলের ইয়াংসি নদীতে নির্মিত রেকর্ড গড়া ‘থ্রি গর্জেস বাঁধকেও’ ছাড়িয়ে যাবে। এর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের ভাটি অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, এই প্রকল্পে পাঁচটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এর মোট ব্যয় প্রায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৬৭ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) হতে পারে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত জানায়, তারা তিব্বতের এই প্রকল্প নিয়ে চীনের কাছে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। একইসঙ্গে দেশটি চীনা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনকে নিশ্চিত করতে বলেছিল, উজানের কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যদিও ডিসেম্বরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রকল্পের কারণে নিম্নপ্রবাহে কোনো ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়বে না। চীন নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে। 

নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর উদ্বেগের পাশাপাশি পরিবেশবিদরাও চীনের এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, এমন বড় প্রকল্প পরিবেশগত দিক থেকে সংবেদনশীল তিব্বত মালভূমির অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে।