News update
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     
  • UN Advances Peace, Development Amid Global Challenges     |     
  • S Arabia, Pak ink defence pact after Israeli strike on Qatar     |     
  • No new committee forming, focus on polls candidates: Tarique     |     
  • Dhaka-Beijing partnership to advance peace, prosperity: Yunus     |     

তাপপ্রবাহের উচ্চ ঝুঁকিতে ২১ জেলার মানুষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-04-30, 1:36pm

jhdqidiqw-18dfebe3ea32e0acc21ad18249ae8b651714462690.jpg




দেশের বেশির ভাগ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। উল্টো বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়েছে। তবে তাপপ্রবাহের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন দেশের ২১ জেলার বাসিন্দারা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র তুলে ধরেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

সরকারের কাছে দেওয়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে সারাদেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে কষ্ট ও বিপদে আছেন। এর বড় অংশ প্রচণ্ড গরমের কারণে দৈনন্দিন কাজ করতে পারছে না। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

সংস্থাটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান তাপপ্রবাহের চিত্র তুলে ধরেছে এবং সারাদেশের তাপপ্রবাহ নিয়ে একটি মানচিত্র তৈরি করেছে।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মানচিত্র অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি উষ্ণতার বিপদে থাকা ২১ জেলা হচ্ছে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ী, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও বাগেরহাট।

মানচিত্রে দেখা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে ২১ জেলা। আর ১৪টি জেলা ২১ জেলার চেয়ে কিছুটা কম ঝুঁকিতে আছে। বাকি জেলাগুলো কিছুটা কম গরমের ঝুঁকিতে রয়েছে। আর দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ গরমের কারণে নানা মাত্রার ঝুঁকিতে বসবাস করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বরাবরের মতো ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। এই আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা কোথাও থাকলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা থেকে ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য লাল সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারির পরামর্শ রয়েছে। ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ বিশ্বের তাপপ্রবাহের শিকার দেশগুলোতে এ ধরনের তাপমাত্রায় লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বাংলাদেশ ১৯ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বরাবরের মতো ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী ও সিলেট সবচেয়ে তপ্ত শহর হওয়ার কথা। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে তার উল্টো। ঢাকার ৭৮ শতাংশ বা ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে পড়েছে। কিন্তু রাজশাহীতে ওই হার মাত্র ৪৫ শতাংশ বা ৪ লাখ মানুষ এ ঝুঁকিতে পড়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগের দিনগুলোর তুলনায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ও বুধবার (১ মে) গরমের কষ্ট আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। কারণ, বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশের ওপর মেঘমালা আসতে শুরু করেছে। এতে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে গেছে। একদিকে রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা, অন্যদিকে অস্বাভাবিক উষ্ণতা মিলে আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে।

আবহাওয়াবিদেরা আরও বলছেন, আগামী ২ মে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তার আগপর্যন্ত তাপমাত্রা কমছে না। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে ওই ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার উষ্ণতা অনুভব করবে মানুষ।

গত ২৯ দিনে সারাদেশের গড় তাপমাত্রা এই প্রথম প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ৭৬ বছরের আবহাওয়ার তথ্য রয়েছে। সে তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা ২৯ দিন দেশের বড় অংশজুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল না। এবারই প্রথম অতি উষ্ণতার কবলে পড়ল দেশের বড় অংশ। আরটিভি নিউজ