News update
  • Gaza war grinds on as forcibly displaced run out of shelter     |     
  • Hezbollah fires 200 rockets into Israel after commander killed     |     
  • Ex-police official, his wife sued for amassing illegal wealth     |     
  • Awami League turns into ‘barbaric’ organisation: Rizvi     |     
  • Govt using judiciary to suppress people’s rights: Manna     |     

জুলাইয়ে মধ্যমেয়াদি বন্যার শঙ্কা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-07-01, 6:51am

fgerert-e9af5c9ac2ed1693ed8cc1a3fd903ae81719795068.jpg




দেশের অধিকাংশ জায়গায় গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি ভারতের রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলে জুলাইয়ের প্রথম ভাগে মধ্যমেয়াদি বন্যা হতে পারে। প্লাবিত হতে পারে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সজল কুমার রায় জানিয়েছেন, আগামী তিন দিনে দেশে ও উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে৷ আর ভারতের বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের নদ-নদীর পানির বেশি বৃদ্ধি পায়।

তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছতে পারে৷ আর মেঘনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে৷

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা বুধবার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। পদ্মা নদীর পানির স্থিতিশীল পাচ্ছে, যা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া মনু, খোয়াই ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও তিস্তা চরাঞ্চলের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

অপরদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের অধিকাংশ জায়গায় গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। রোববার ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। আরটিভি