News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

ফের ডুবছে নোয়াখালী, অন্তত ১৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-10-05, 5:28pm

img_20241005_172540-934f9271e1bb46b4ca6519e6dc30fccc1728127686.jpg




টানা বর্ষণের পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালী। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ১৩ লাখ মানুষ। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে এমনটি দেখা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলার নিম্নাঞ্চল সবই পানের নিচে। বসতঘর ও সড়ক ডুবে আছে। অনেকে পরিবার নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া পুরো জেলার মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও তেমন খোলা নেই। তবে জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে খেটে খাওয়া মানুষ বাইরে বের হয়েছেন।

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে অফিস।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক অফিস জানিয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত জেলার আট উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় ১২ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মোট ৩ হাজার ১৮৫ জন মানুষ ৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. আলফাজ সরোয়ার বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তা আবারও বেড়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখনও কেউ খবর নেয়নি, সহযোগিতাও করার কোন কার্যক্রম দেখছি না।

বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, বেগমগঞ্জের প্রায় সব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। নিচু এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পানিও এখনো নামেনি। নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, মানুষ যাতে খাদ্যাভাবে কষ্ট না পায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, বৃষ্টিপাত না হলে দ্রুতই পানি কমে যাবে। আরটিভি