News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

মুহুরি নদীর বাঁধে ফের ফাটল, বন্যা আতঙ্কে স্থানীয়রা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-06-07, 5:16pm

da4263e30878b319a07d9154fcf0d6090185892cecd0f459-3dada446178c626e0e311e0b91370f5f1749295011.png




টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফের ফাটল। বন্যা আতঙ্কে জেলার কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেরামতের অর্থ নয়ছয় করে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, অনিয়ম হলে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

ফেনীর মুহুরি কহুয়া সিলোনিয়া নদীর দুই তীরে ১২২ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে, গত বছর রেকর্ড সংখ্যক স্থানে ভেঙে যায়। পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছিল ফেনী-নোয়াখালী-কুমিল্লার বিস্তীর্ণ জনপদ।

ভেঙে যাওয়া ১০২ টি বাঁধ প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করে। তবে সেসব বাঁধের অংশে আবারো ধরেছে ফাটল। কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, যথাযথভাবে সংস্কার না করে মেরামতের অর্থ লোপাট করে খেয়াল খুশিমতো কাজ করা হয়েছে। এ কারণেই এমন দশা।

গত ১ জুন টানা চার দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে মুহুরি-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীতে পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি না আসতেই বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।

এতে ফের বন্যার আতঙ্কে নদীপাড়ের কয়েক হাজার বাসিন্দাসহ পুরো জনপদের মানুষ। তারা বলেন, নয়ছয় করে নিম্নমানের বাঁধ নির্মাণ করার এ এলাকার মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

এদিকে, কাজের অনিয়ম খতিয়ে দেখা আর টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন বলেন, যেসব ত্রুটিবিচ্যুতি হয়েছে সেগুলো ঠিকাদারকে দিয়ে ঠিক করিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ও জনগণকে স্বস্তি দিতে কাজ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি ছিলেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। প্রাণহানি হয় ৩৫ জনের।