News update
  • "AL doesn't care about US visa policy"     |     
  • Trade ties with US won't be upset by visa policy: Salman Rahman     |     
  • Application must to allow Khaleda Zia to go abroad: Anisul     |     
  • US visa restrictions on Bangladeshi individuals begin     |     
  • Doesn't matter if someone observes the poll or not: Info Minister      |     

বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার

গ্রীনওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2023-09-06, 9:00pm

image-238674-1693992205-c0657606e9979711a68cc0417b1c037b1694012434.jpg




গাজীপুরের সালনায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হল ৪১৩ নম্বর রুম থেকে গাঁজার চারাগাছ উদ্ধার করা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে গাঁজা গাছটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে বিষয়টি মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জানাজানি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হলের ৪১৩ নম্বর রুমে একটি টবের মধ্যে জীবন্ত একটি বড় আকারের গাঁজার গাছ দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা হল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। পরে হল প্রভোস্ট আব্দুস সালাম ওই হলে গিয়ে গাঁজার গাছটি উদ্ধার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি গ্রুপ প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদকের ব্যবসা করে আসছে। বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অসংখ্যবার হল প্রশাসনকে জানানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যে রুম থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয় সে রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিম খান থাকেন।

এর আগে ছাত্রশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল সামার ২০২১ টার্মের ফাইনাল পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশের সহযোগিতায় সে সামার ২০২১ টার্মের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং আবাসিক হলে অবৈধভাবে অবস্থান করে বহাল তবিয়তে আছেন।

এদিকে গাঁজা গাছের চারা উদ্ধার হওয়ার কয়েক দিন পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন রাফিম খানের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। এই নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। প্রভাবশালী এই গ্রুপটির কারণে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ দিনের সুনাম এখন হুমকির মুখে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, এখানে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে। কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।