News update
  • Munshiganj General Hospital catches fire; no injury reported     |     
  • Dhaka’s air records ‘unhealthy’ on Monday morning     |     
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     

চিকিৎসক ছেলের বিরুদ্ধে ইউএনও অফিসে মায়ের অভিযোগ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-05-08, 8:46am

siudasd8au-eeb0b31120cc47d249f911d2efeddd1a1715136382.jpg

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সুজাউদৌল্লা। ছবি: সংগৃহীত



ছেলেকে চিকিৎসক বানাতে গিয়ে সহায়-সম্বল সব হারিয়েছেন বাবা-মা। বাড়ির ভিটেমাটিও দিয়েছেন ছেলের নামেই। ছেলে সুজাউদৌল্লা এখন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। রক্ত পানি করে চিকিৎসক বানানো সেই ছেলের কাছেই জায়গা হচ্ছে না তাদের। নির্যাতন থেকে রক্ষা এবং ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মা মনিরা বেগম।

সোমবার (৬ মে) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত চিকিৎসক সুজাউদৌল্লা গুরুদাসপুর পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লার খাইরুল ইসলামের ছেলে। তিনি প্রায় দেড় বছর ধরে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে আছেন।

বৃদ্ধা মা মনিরা বেগম জানান, টাকা-পয়সা না থাকা সত্ত্বেও ছেলেকে চিকিৎসক বানিয়েছেন। ডাক্তারি পড়াতে গিয়ে সহায়-সম্বল সব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। একমাত্র ছেলে হওয়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও লিখে দিয়েছেন ছেলের নামেই। এখন ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো বাবা-মাকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে চালাচ্ছেন নির্যাতন।

তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনো করিয়েছি। সব হারিয়েছে জীবনের। সেই ছেলেই এখন আমাদের পথে বসাচ্ছে। পেটের তাগিদে অসুস্থ শরীর নিয়ে ভ্যান চালাচ্ছেন আমার স্বামী খাইরুল ইসলাম। যা আয় হয় তাতেই কোনোমতে দিন যায়। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনও শুরু করেছেন। এখন আমাদের ঠাঁই হবে কোথায়? কোনো উপায় না পেয়ে ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।

সুজাউদৌল্লার বাবা খাইরুল ইসলাম জানান, বাড়ি থেকে বের করে দিতে সুজাউদৌল্লা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করছে। গায়ে হাত তুলছে। অথচ সব শেষ করে সেই ছেলেকেই তিনি চিকিৎসক বানিয়েছেন। ছেলের নামে লিখে দেয়া ভিটেমাটিও ফেরত চান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে সুজাউদ্দৌলা বলেন, ‘জেদের বশবর্তী হয়ে এই কাজ করেছে আমার বাবা-মা। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো।’

সুজাউদৌল্লার বিরুদ্ধে মায়ের দায়ের করা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, এরইমধ্যে সুজাউদৌল্লাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সময় সংবাদ