News update
  • Reported massacre at hospital in Sudan’s El Fasher leaves 460 dead     |     
  • DSE to complete IPO process within 6 months: MD     |     
  • Prof Yunus asks for simplifying reform report for people     |     
  • Forces from inside-outside may work to thwart polls: Prof Yunus     |     
  • NCC for referendum, after July Charter order promulgation     |     

মানুষ কেন এমন নির্মম আচরণ করছে?

গণপিটুনি

বিবিধ 2024-09-30, 11:01am

ffbd3ffd918968ee97a16c39c2e5de34a62a7501a27e3362-0138b2d2ff435bd9bbe4750513b960651727672502.jpg




গণপিটুনিতে হত্যার মতো বর্বরতার শিকার হয়ে গত ৬ বছরে প্রাণ হারিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। বিশ্লেষকদের মতে, আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষার অভাব ও বিকৃত মানসিকতার কারণেই ঘটছে গণপিটুনিতে মানুষ হত্যার মতো বর্বর ঘটনা। আইনের যথাযথ প্রয়োগের তাগিদ দিয়েছেন তারা।

চলতি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন শিক্ষার্থীরা। একইভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হত্যা করা হয় শামীম আহমেদ নামে আরেক যুবককে।

এর আগে ২০১১ সালে আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৬ ছাত্রকে। ২০১৯ সালে রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করে উৎসুক জনতা।

মানুষের সঙ্গে মানুষ কেন করছে নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণ? এমন প্রশ্নের উত্তরে অপরাধ বিজ্ঞানীরা পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের শিক্ষার অভাবকেই দায়ি করেছেন। তবে মানবাধিকার কর্মীদের মতে, দেশে দীর্ঘদিন আইন ও বিচার ব্যস্থার প্রতি অনাস্থার করণেই আইন নিজের হাতে তুলে নেয় অতি উৎসাহী জনতা।

অপরাধ বিজ্ঞানী হাফিজুর রহমান কার্জন সময় সংবাদকে বলেন, 

ঢাবিতে এক যুবককে পেটানোর পর খাইয়ে আবার পেটানো হয়েছে। এমন অস্বাভাবিক সাইকোলোজি আমাদের সমাজে অনেকের মধ্যেই আছে। এর মানে হলো, তারা যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, যে শিক্ষা নিয়েছেন, সেখান থেকে তারা পর্যাপ্ত মানবিকবোধ এবং সভ্য হওয়ার শিক্ষা পায়নি।

অধিকারের পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান বলেন, মানুষের মধ্যে ফৌজদারি বিচারের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। সেটার ফলে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা একটি সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও বিচার ব্যবস্থার প্রতি যে আস্থা, সেটা ফিরে আসেনি।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে দেখা যায়, প্রতি বছরই গণপিটুনিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। এরমধ্যে এক মাসেই মারা গেছেন ৯ জন। পুলিশ ও আইনজীবীরা বলছেন, আইন থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে নিহতের পরিবার মামলা না করায় বিচার হয় না। এ ধরণের ঘটনায় সাক্ষীর অভাবেও বিচার নিষ্পত্তিতে দেখা দেয় দীর্ঘসূত্রতা।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুন্সি আব্দুল আলিম বলেন, 

এতজন অপরাধী একসঙ্গে এ ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকেন যে, তাদের নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে থাকে। এতে বাদীও হতাশ থাকেন যে, কার বিরুদ্ধে মামলা করবেন। অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রকৃত অর্থে তদন্ত করে সঠিক দোষী বের করে আনা কঠিন হয়।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে আমরা অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করি। বাকি প্রক্রিয়া যেটা আছে, সেটা আদালতের বিষয়। এক্ষেত্রে আমাদের পুলিশে যেটা কার্যক্রম, সে পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম সীমিত থাকে।’  

বিশ্লেষকদের মতে, গণপিটুনিতে হত্যার মতো নিষ্ঠুরতা রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ দরকার। তথ্য সূত্র সময় সংবাদ।