মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে ‘বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার’দিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। পরে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে গুলশানের বাসভবনে ফিরে যান বিএনপির চেয়ারপারসন।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডেএম জাহিদ হোসেন একথা নিশ্চিত করে বলেন, ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেতে হতে পারে। সেজন্য আজ উনি বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার দিতে আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিলেন।
বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’থেকে তাঁকে বহনকারী পাজেরো জিপ গাড়িটি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে প্রবেশ করে।
দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বিএনপি চেয়ারপারসনকে দূতাবাসে স্বাগত জানান। তার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন ছিলেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা হলেও তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাল্টি ডিসিপ্লানারি সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানান।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া আগামী মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য প্রথমে লন্ডনে যাবেন বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। সেই সময় খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এনটিভি নিউজ।