News update
  • BGMEA says Mirpur fire was not in formal apparel sector units     |     
  • Fire at Shialbari Mirpur, Dhaka chemical godown under control      |     
  • Khaleda admitted to Evercare for health check-ups     |     
  • Record-breaking CO₂ surge in 2024 threatens global warming: UN     |     
  • Dhaka stocks tumble as DSEX plunges 80 points     |     

শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিন নিয়ে প্রেস সচিবের ফের স্ট্যাটাস

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-02-02, 11:55pm

dgrtwt-979e1d66f3b19142dad7611b1ebd15851738518919.jpg




অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অমুর একুশে বইমেলায় গিয়ে শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন। সেই ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিলে নানা আলোচনার জন্ম দেয়। সেই আলোচনায় ফের ঘি ঢাললেন তিনি।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি)  প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাসে বলেন, গতকাল (শনিবার) একুশে বইমেলা থেকে দেয়া আমার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে অনেক হইচই হয়েছে, তাই আমি একবারেই সবকিছু পরিষ্কার করে দিতে চাই। 

তার স্ট্যাটাসের অর্থ অনেকটা এমন—

অন্তর্বর্তী সরকার কেবলমাত্র তার অংশীদারদের প্রতি নিরপেক্ষ-যারা ছাত্র ও যারা শুধু গণজাগরণে নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চুরি যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্বর্তী সরকার সেই দলের বিরুদ্ধে কঠোর ও অবিচল অবস্থানে রয়েছে, যারা নিষ্ঠুর স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল, মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ করেছিল এবং ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করেছিল।


অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো জুলাই মাসের গণজাগরণে বিক্ষোভকারীদের হত্যাকারীদের বিচার করা। আমাদের কাজ হলো বাংলার কসাই শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা।

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের দোসর, সমর্থক ও তাদের অনুগতদের গণহত্যা, হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হাজার হাজার গুম এবং শত শত বিলিয়ন ডলার লুটপাটের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের ম্যান্ডেটই হচ্ছে এই অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।

আমরা যখন প্রধান উপদেষ্টার মুখপাত্র হিসেবে কথা বলি, সাধারণত আইজির (অন্তর্বর্তী সরকার) অগ্রগতি এবং সাফল্যের আপডেট দিই। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা এবং তার তৈরি চোরতন্ত্র ও খুঁটিতন্ত্রের অপরাধ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করি-যাতে জনগণের মনে এসব বিষয় সবসময় তাজা থাকে।

যারা মনে করেন আমি রাজনীতি বা আওয়ামী লীগের হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির ব্যাপারে বেশি কথা বলছি তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক। আমরা জানি, এত বছর ধরে আপনারা কী করেছেন। দুঃখিত আমি থামব না-আমার কাজের শেষ দিন পর্যন্ত।

রুচি কী? ভালো রুচির বিচারক কে? ভদ্রতা কী? কাকে ভদ্রতা দেখাবো? এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম নৃশংস ও দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসক। আমি কোনো দ্বিধা ছাড়াই আমাদের জনগণকে সবসময় স্মরণ করিয়ে দেব তিনি একজন হত্যাকারী ও গুমজননী ছিলেন!! এটা নৈতিক অবস্থান। তা ছাড়া যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তবে আমাদের ইচ্ছেমতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলার স্বাধীনতা থাকা উচিত-এটাই গণতন্ত্রের ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।

আমি আমাদের ইতিহাস ভালোভাবেই জানি। আমি জানি, আমরা কীভাবে সমষ্টিগত বিস্মরণে ভুগেছি, কীভাবে ইতিহাসের কিছু ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন ভুলে গেছি। বিজয়ীরা আমাদের ইতিহাস লিখেছে, কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে নায়ক বানিয়েছে। আমরা এটা হতে দেব না। আমরা একজন সাইকোপ্যাথকে সাইকোপ্যাথ বলব, গণহত্যাকারীকে গণহত্যাকারী বলব

ছয় মাস পার হয়ে গেছে গণজাগরণের, কিন্তু এখনও বিএল অস্বীকারের পর্যায়ে রয়েছে। তাদের দোসর, নেতা, প্রো-বিএল সাংবাদিক, বিদেশি মদতদাতা ও সমর্থকরা সত্যকে অস্বীকার করছে। তারা একটি বিকল্প ইতিহাস তৈরি করতে চায়-যেখানে তারা শিকার, যেখানে পুলিশ আক্রমণকারী নয়।

সাংবাদিকতার ভাষায়, তারা এমন এক কথন তৈরি করতে চায় যে এই গণজাগরণ কেবলমাত্র একটি ইসলামপন্থী অভ্যুত্থান ছিল। এটি ওয়ার অন টেরর মডেল, যা বিএল ২০০৭ সাল থেকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করছে। যে কেউ বিএল-এর বিরুদ্ধে, সে ইসলামিক মৌলবাদী। বিএল প্রচার চালাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে এবং কিছু শীর্ষ ভারতীয় মিডিয়াকে এই প্রচারণায় মিত্র বানিয়েছে

এটি একটি ভয়ঙ্কর খেলা। যদি তারা সফল হয়, তবে তারা আমাদের যে কাউকে হত্যা করার লাইসেন্স পেয়ে যাবে, আর বিশ্ব তাতে চোখ বুজে থাকবে। আমাদের কাজ হলো বিএল-এর এই বিলিয়ন ডলারের প্রোপাগান্ডা প্রকল্প যে কোনো মূল্যে রুখে দেওয়া। আমরা যে কোনো উপায়ে লড়ব, অন্যথায় আমাদের জেনেভা ক্যাম্পে থাকা উর্দুভাষীদের মতো পরিণতি হবে।

আমার আত্মীয় ও বন্ধুদের প্রতি যাদের বিএল ট্রল ব্রিগেড টার্গেট করেছে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আমার আরামদায়ক ও উচ্চ বেতনের চাকরি ছেড়ে আইজি-তে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছি। আমার শেয়ার করা ছবিগুলো বিএল-এর ট্রলদের সুযোগ দিয়েছে আপনাদের টার্গেট করতে। অনুগ্রহ করে আমাকে আনফ্রেন্ড করুন। অথবা আমার অ্যাকাউন্ট ব্লক করাই সবচেয়ে ভালো হবে। ধৈর্য ধরার জন্য ধন্যবাদ। আমি জানি আমি কী করছি এবং আমার কর্মকাণ্ডের জন্য যে কোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত।

আরটিভি