
রাজধানীর সংসদ ভবনের সামনে শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পূর্বে অন্যান্য জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হন মো. ছাব্বির আহমদ। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে তিনি আহত হন। পরে আহত হয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সিলেট এমসি কলেজে আছি। আমি বর্তমানে এমসি কলেজে মেট্রিক পাস দিছি।’ এরপর এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে যোগাযোগ করা হলে ছাব্বির আহমদ বলেন, ‘শুক্রবার পুলিশের মারধরে আমি মাথায় ও পায়ে আঘাত পাই। এরপর আমাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজকে সিলেট এসেছি। এখন ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হব।’
ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। তখন আমার পুরোপুরি হুশ ছিল না। সেই সময় একজন সাংবাদিক আমাকে নানা প্রশ্ন করেন। আমি কী জবাব দিয়েছি, তা মনে নেই। তবে পরে ভিডিও দেখে বুঝেছি- এরকম বলা ঠিক হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমসি কলেজের ছাত্র নই। আমি খাসদবির স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। এরপর পরিবারের অভাবের কারণে চাকরিতে যোগ দিই। একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতাম। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে আহত হওয়ার পর থেকে আর কাজ করতে পারি না।’
জুলাই আন্দোলনে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে ছাব্বির বলেন, ‘গত বছরের জুলাইয়ে আমি বন্দরবাজার এলাকায় আহত হই। তখন আমার পায়ে গুলি লাগে।’
শুক্রবার ঢাকায় যাওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা সিলেট থেকে অনেক জুলাইযোদ্ধা একসাথে সেখানে আমাদের দাবি জানাতে গিয়েছিলাম।'
জানা গেছে, মো. ছাব্বির আহমদের বাড়ি সিলেটের সাজেব বাজার এলাকায়। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি নগরের খাসদবির এলাকায় বসবাস করতেন। ছাব্বির আহমদ সরকারের গেজেটভুক্ত একজন জুলাইযোদ্ধা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত সনদ অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে তিনি সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ওই সনদে তার পেশা হিসেবে লেখা রয়েছে- ‘চালক ও কন্ট্রাক্টর’।
‘জুলাইযোদ্ধা সংসদ, সিলেট’-এর আহ্বায়ক আব্দুর রহিম শনিবার বলেন, ‘ছাব্বিরকে আমি আগে চিনতাম না। কালকে ওই ভিডিও দেখার পরই তার সম্পর্কে জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ছাব্বিরের ভূমিকা সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে জুলাইযোদ্ধা গেজেটে তার নাম রয়েছে। তিনি কাল কার সঙ্গে ঢাকা গিয়েছিলেন, তাও আমি জানি না।’আরটিভি