News update
  • US May Ease Tariffs Further as Trade Gap Narrows     |     
  • Arab-Islamic summit over Israeli strike on Doha Monday     |     
  • NASA Rover Uncovers Strongest Hint of Ancient Life on Mars     |     
  • Eminent Lalon singer Farida Parveen passes away     |     
  • Dr Yunus mourns Farida Parveen's death     |     

ব্যবসায়ী শিয়াও জিয়ানহুয়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিল চীন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2022-08-20, 8:23am




চীনা-কানাডিয়ান বিলিয়নিয়ার শিয়াও জিয়ানহুয়া-কে সাংহাইয়ের এক আদালত শুক্রবার ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এবং তার মালিকানাধীন টুমরো হোল্ডিংস ব্যবসাগোষ্ঠীকে ৫৫০৩ কোটি ইউয়ান (৮১০ কোটি ডলার) জরিমানা করেছে। চীনে এটি এক রেকর্ড সৃষ্টিকারী জরিমানা। জিয়ানহুয়াকে ২০১৭ সালের পর থেকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

সাংহাই ফার্স্ট ইন্টারমিডিয়েট আদালত বলে, শিয়াও এবং টুমরো হোল্ডিংস এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, তারা অবৈধভাবে জনগণের জমাকৃত অর্থ সরিয়ে ফেলেছে, অর্পিত সম্পত্তির অপব্যবহার করেছে, এবং তহবিলের অবৈধ ব্যবহার করেছে ও ঘুষ দিয়েছে।

আদালত আরও বলে যে, তাদের সাজা হ্রাস করা হয়েছে কারণ উভয়ই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে এবং অবৈধভাবে অর্জিত মুনাফা পুনরুদ্ধার করতে ও লোকসান পুষিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে।

শিয়াও এর জন্ম চীনে। জানা যায় যে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। সর্বশেষ তাকে হংকংয়ের এক বিলাসবহুল হোটেল থেকে মাথা ঢাকা অবস্থায় একটি হুইলচেয়ারে করে দিনের শুরুর দিকে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। শিয়াও এর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সে সময়ে রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছিল।

আদালত বলে যে, শিয়াও ও টুমরো হোল্ডিংস “আর্থিক ব্যবস্থাপনার নিয়ম গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে” এবং “রাষ্ট্রের আর্থিক নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে”। তাকে তার অপরাধের জন্য অতিরিক্ত আরও ৬৫ লক্ষ ইউয়ান জরিমানা করা হয়েছে।

২০০১-২১ সাল পর্যন্ত শিয়াও ও টুমরো সরকারি কর্মকর্তাদের শেয়ার, ভূসম্পত্তি, নগদ অর্থ ও অন্যান্য সম্পদ দেয়। ‍এর মোট আর্থিক মূল্য ৬৮ কোটি ইউয়ান। আর্থিক নজরদারি এড়াতে ও অবৈধ মুনাফা অর্জন করতে এমন করা হয়েছিল। আদালত এসব তথ্য জানায়।

২০২০ সালের জুলাইয়ে ব্যবসাগোষ্ঠীটির সাথে সম্পর্কিত নয়টি প্রতিষ্ঠানকে চীনের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো জব্দ করে। আর্থিক ব্যবসাগোষ্ঠীদের দ্বারা সৃষ্ট ঝুঁকির বিরুদ্ধে দমনের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বেইজিংয়ে অবস্থিত কানাডার দূতাবাস মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। মন্তব্যের জন্য টুমরো হোল্ডিংস এর সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।