News update
  • FAO Warns of ‘Silent Crisis’ as Land Loss Threatens Billions     |     
  • Indices tumble on both bourses amid broad-based sell-off     |     
  • BNP Names 237 Possible Candidates for Polls     |     
  • Bangladeshi leader of disabled people of world Dulal honoured     |     
  • UN Report Warns Inequality Fuels Global Pandemic Vulnerability     |     

জাতীয় ভোক্তা অধিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তনির

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2024-05-24, 1:09pm

tonni-b06f4f189208af2eb96e850c97e13bdc1716534610.jpg




জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। আবেদনে মনগড়া অভিযোগকারী তৈরি করে জরিমানা, আইন অমান্য করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান এবং জরিমানা দেওয়ার পরও মনগড়া তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সানভি’স বাই তনির এই স্বত্বাধিকারী।

গত মঙ্গলবার (২১ মে) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আটজনকে আইনি নোটিশ পাঠান তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন। একইসঙ্গে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন তিনি। 

শুক্রবার (২৪ মে) এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হবে আগামী রোববার (২৬ মে)।’

উচ্চ আদালতে করা আবেদনে তনি দাবি করেন, তাকে একটি অবৈধ অভিযোগে এবং অপর একটি ভুয়া অভিযোগে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একইসঙ্গে পুলিশ প্লাজায় থাকা সানভিসের প্রধান শোরুম বে-আইনিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার অফিস ও অন্যান্য শোরুমে প্রতিদিন পুলিশ নিয়ে হানা দিচ্ছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। এজন্য নিজের ও ব্যবসার সুরক্ষায় ভোক্তা অধিদপ্তরের এমন তৎপরতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

তনির পাঠানো আইনি নোটিশ ও রিট আবেদন থেকে জানা গেছে, গত ১৪ মে সানভিসকে পৃথক দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। লুবনা ইয়াসমিন নামের এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়। লুবনা ইয়াসমিন নামের ওই ক্রেতা সানভিস থেকে একটি পোশাক কিনেছিলেন গত ৯ ফেব্রুয়ারি। এর ৫৩ দিন পর গত ৩ এপ্রিল ওই নারী ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন। পরে ১২ মে সানভিসের প্রধান শোরুমে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেন সহকারী পরিচালক জব্বার মন্ডল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৬০ ধারা অনুযায়ী অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে হয় ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে। কিন্তু লুবনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেছেন ৫৩ দিন পর। ফলে তার অভিযোগ আমলে নেওয়ার বৈধতা হারিয়েছেন। এই ৫৩ দিন তিনি ওই কাপড় ব্যবহার করে নষ্ট করেছেন কি না, সেটিও নিশ্চিত নয় কেউ। কিন্তু এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে ৪৫ ধারা মতে, সর্বোচ্চ শাস্তি ৫০ হাজার টাকা সানভিসকে জরিমানা করা হয়। এমন অবৈধ অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান আইনের প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে দাবি করেন তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন।

অন্যদিকে, মিথ্যা বিজ্ঞাপনের অভিযোগে ৪৪ ধারায় সানভিসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। এ জরিমানার টাকা আদায়ের রশিদে অভিযোগকারী হিসেবে রাজু নামের এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু রাজু নামে কোনো ব্যক্তি সানভিসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি বলেও দাবি তনির। এমনকি, এই অভিযোগের বিষয়ে সানভিসকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বা শুনানিও হয়নি বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করেন তনি।

রিট আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, লুবনা ইয়াসমিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সানভিসের মালিক তনিকে তলব করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা ইন্দ্রানী রানি। কিন্তু সেই তলবের শুনানিতে অযাচিতভাবে হাজির হন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। ভুয়া অভিযোগকারীর নামে নোটিশ বা শুনানি ছাড়াই বেআইনিভাবে দুই লাখ জরিমানা করেন। কিন্তু, দুটি জরিমানার ক্ষেত্রেই তনিকে কোনো আদেশের কপি দেওয়া হয়নি, যা রীতিমতো বেআইনি। শুধু জরিমানার টাকা গ্রহণের রশিদ দেওয়া হয়।

রিট আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়, আব্দুল জব্বার মন্ডল এমন অবৈধ ও ভুয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জরিমানা দিতে রোবাইয়াত ফাতিমা তনিকে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। জরিমানা দিলে বিষয়টি এখানে মিটমাট হয়ে যাবে, না দিলে তনির অন্য যে ১০টি শোরুম রয়েছে সেগুলো অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সানভিসের মালিক তনি বলেন, ‘সহকারী পরিচালক (আবদুল জব্বার মন্ডল) আমাকে বলেছিলেন, জরিমানা দিলে আপনার শোরুম আজ খুলে দেওয়া হবে। না হলে অন্যান্য শোরুমে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন আমার ব্যবসা বাঁচাতে তারা যা বলেছেন, তাই করেছি। কয়েকটি কাগজেও স্বাক্ষর নিয়েছে। কিন্তু তারা আমার শোরুম খুলে না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন।’

তনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই দফা জরিমানা করার পর তার শোরুম খুলে না দিতে কৌশলের আশ্রয় নেন জব্বার মন্ডল। তিনি এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেন। পরের দিন শোরুম খুলে দিতে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে জানানো হয়, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শোরুম বন্ধ থাকবে।’

তনির আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুন এ বিষয়ে বলেন, ‘আপনি যদি কোনো ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি করেন, তাহলে তদন্তের আগে কীভাবে দুই দফা শাস্তি দিয়ে ফেললেন? আর শাস্তি যখন দিলেন তাহলে শোরুম বন্ধ রাখলেন কিসের ভিত্তিতে? এ ছাড়া তাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তার আদেশের কোনো কপি বা শোরুম বন্ধের আদেশের কোনো কপি তাকে দেওয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি তারা বেআইনিভাবে করেছে। এজন্য তারা আদেশের কপি দেননি, যাতে তনি চ্যালেঞ্জ করতে না পারে। এখন আমরা উচ্চ আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি। একজন নারী উদ্যোক্তাকে এমন হয়রানি করার প্রতিকার আমরা উচ্চ আদালতে পাব আশা করি।’ এনটিভি নিউজ।