News update
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     

কে হচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2024-08-12, 11:01am

wetewtew-25686ce19438885a7fa249dfba98f8d31723438901.jpg




ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের চার দিন পর গত শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেন আবদুর রউফ তালুকদার। এর আগে তিন ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, দেশের এই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সময়ে কে হচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী গভর্নর?

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর চারজন। এর মধ্যে তিনজন কাজী ছাইদুর রহমান, খোরশেদ আলম ও হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে সাদা কাগজে ‘পদত্যাগ করলাম’ লিখে গত বুধবার পদত্যাগ করেন। ওই দিন অবশ্য সাদা কাগজে পদত্যাগ করেননি আরেক ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।

নিয়মিত গভর্নরের অনুপস্থিতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ রোববার (১১ আগস্ট) এক চিঠিতে দৈনিক ডাক দেখার দায়িত্ব দিয়েছে ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন গভর্নর যোগ দেওয়ার আগপর্যন্ত দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করবেন। চিঠিতে পদত্যাগকারী তিন ডেপুটি গভর্নরকেও কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত বৃহস্পতিবার শপথ নেন। এই সরকারের একজন উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া হয়েছে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

শনিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা আবদুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন, তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

শিল্পপতিরা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিংখাতের বিষয়ে ব্যাপক জ্ঞানের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন কাউকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তারা বলছেন, যোগ্য একজন গভর্নর খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে সালেহউদ্দিন আহমেদকে।

এ পর্যন্ত শীর্ষ অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক এবং বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতো বিশ্ব সংস্থায় কাজ করেছেন এমন অর্থনীতিবিদদের নাম উঠে এসেছে।

আবদুর রউফ তালুকদারকে ২০২২ সালের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেইসময়ে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়ন দেখছিল।

তিনি তার মেয়াদে এই সমস্যাগুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি। ফলে, মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়তে থাকে এবং ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অবনতি হওয়ায় ব্যাংকিংখাতে খেলাপিঋণ ও অন্যান্য অনিয়ম বাড়তে থাকে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসাইন বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর খুঁজতে সরকারকে তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে।'

'প্রথমত, নতুন গভর্নরকে সৎ হতে হবে। দ্বিতীয়ত, তার অবশ্যই দেশের আর্থিকখাত সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান থাকতে হবে। তাকে বেসরকারি খাত, পুঁজিবাজার ও বীমাখাত সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। কারণ, এগুলো অর্থনীতির অত্যাবশ্যকীয় অংশ।'

ব্যাংককে আর্থিকখাতের প্রধান স্তম্ভ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'পরবর্তী গভর্নরের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হতে হবে, রাজনৈতিক প্রভাবসহ বিভিন্ন মহলের অযাচিত হস্তক্ষেপ মোকাবিলা করার সাহস।'

সর্বোপরি, নতুন গভর্নরকে অবশ্যই ব্যাংকগুলোর মালিক সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন মূলত প্রতিষ্ঠানের প্রধানের ওপর নির্ভর করছে। তাই, নতুন গভর্নরকেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। আরটিভি