News update
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     

বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-05-26, 3:08pm

img_20250526_150655-fb75389122438c0e856c94d7d99a96561748250529.jpg




বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১২১ টাকা ৬০ পয়সা ধরে)। ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি রিকভারি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্প’ (বি-স্ট্রং) বাস্তবায়নের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে।

রোববার (২৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ইআরডির সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা শারমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রকল্পটিতে মন্ত্রণালয়-বিভাগভিত্তিক পাঁচটি কম্পোনেন্ট রয়েছে। প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০৩০ মেয়াদে বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো গত ২০২৪ সালের আগস্টে দেশে সংঘটিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, বাঁধ মেরামত এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন করা।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এ ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং গৃহীত ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। তবে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি অব্যাহতি দিয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যা বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা গভীর করেছে। 

বর্তমানে বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে ৪৭টি চলমান প্রকল্পের জন্য ১৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে।

আরটিভি