কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনির ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিদের নিয়ে ৪ দেশ সফরে বেরিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এরই অংশ হিসেবে এই মুহূর্তে তুরস্ক সফরে আছেন তিনি। গতকাল রোববার (২৫ মে) সফরের প্রথম দিন তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে দেশটির রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে শেহবাজ শরীফের। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে দুই দেশই।
সোমবার (২৬ মে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতি অটল সমর্থনের জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান ও তার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শেহবাজ শরীফ। এরদোয়ানের এ সমর্থনকে তিনি পাকিস্তানের জন্য অসাধারণ সান্ত্বনা ও শক্তির উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা মারকা-ই-হক এবং অপারেশন বুনিয়ানম মারসুসে পাকিস্তানের অভূতপূর্ব বিজয়ে ব্যাপক অবদান রেখেছিল।
বৈঠকে দুই নেতা নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিস্তৃত পরিসরে পর্যালোচনা করেন এবং কাশ্মীর বিরোধসহ একে অপরের মূল উদ্বেগের প্রতি তাদের নীতিগত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তারা আঞ্চলিক শান্তি এবং জনগণের সমৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, বৈঠকে যৌথ উদ্যোগ এবং বর্ধিত বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ এবং জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা উৎপাদন, অবকাঠামো ও কৃষিসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সম্ভাবনার তুলে ধরেন শেহবাজ শরীফ।
দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের উপরও আলোচনা করেছেন এরদোয়ান ও শেহবাজ। দুজনই গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর কাছে অবাধ মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
পাক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে অনুযায়ী, সর্বোপরি উভয় পক্ষই পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী সৈয়দ তারিক ফাতেমি এবং রাষ্ট্রদূত ড. ইউসুফ জুনাইদও ছিলেন। বৈঠকে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সম্পৃক্ততা পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে গভীর, ঐতিহাসিক এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করেছে।
আরটিভি