News update
  • Reported massacre at hospital in Sudan’s El Fasher leaves 460 dead     |     
  • DSE to complete IPO process within 6 months: MD     |     
  • Prof Yunus asks for simplifying reform report for people     |     
  • Forces from inside-outside may work to thwart polls: Prof Yunus     |     
  • NCC for referendum, after July Charter order promulgation     |     

কলাপাড়ায় বিক্ষোভের মুখে ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ

ভূমি 2024-10-13, 12:04pm

landless-people-demonstrating-in-kalapara-on-sunday-3d13419ed1becfe30263bd56a1f71b761728799453.jpg

Landless people demonstrating in Kalapara on Sunday



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিক্ষোভের মুখে ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী জিয়া কলোনীর ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারকে ভেকু নিয়ে উচ্ছেদ করতে আসে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ভূমিহীন এ পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ কালে তাদের পুনর্বাসনের দাবীতে বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। বেড়িবাঁধের উপর রাস্তা নির্মানের ফলে এই পরিবারগুলো উচ্ছেদ হতে যাচ্ছে। পরিবারকে কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে না। বরং কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আজকে উচ্ছেদ করতে আসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

উচ্ছেদ আতংকে আজ সকালেই ভূমিহীন পরিবারের একটি দল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করে তাদের পুনর্বাসনের আগে উচ্ছেদ না করার দাবী জানান। ইউএনও বাসভবনে এই আলোচনা চলাকালীন সময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ভেকু নিয়ে উচ্ছেদ শুরু করতে যায়।  

এমন পরিস্থিতিতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন যে, "জিয়া কলোনি সংলগ্ন ১৩৬ পরিবার উচ্ছেদ করে রাস্তা নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন, কলাপাড়া কিংবা উপজেলা ভূমি অফিস, কলাপাড়া কোনো নির্দেশনা দেয় নি। ১৩৬ পরিবারের থাকার যায়গা নিশ্চিত না করে কোনো উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে না মর্মে ইতোপূর্বে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।"

এর আগে বিগত দুই দশক আগে তৎকালীন সরকার বাস্তুভিটাহীন হওয়ার কারণে ভূমিহীন পরিবারগুলোকে বসবাসের জন্য ইটবাড়িয়া গ্রামে আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের ঢালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কলোনী করে থাকার সুযোগ করে দিয়েছিল। যার পর থেকে তারা দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল থেকে পায়রা বন্দর প্রশাসনিক ভবন হয়ে ঢাকা—কুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে পায়রা বন্দরের গেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উপর রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।  এই রাস্তা নির্মাণ করতে কলোনীসহ বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী ১৩৬টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ফলে ভূমিহীন মুক্ত কলাপাড়ায় নতুন করে ১৩৬টি পরিবার নতুন করে ভূমিহীন হতে যাচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা জানান, আমাদেরকে উচ্ছেদ করা হলেও কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন করা হবে না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই পরিস্থিতিতে মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয় হারালে আমাদের জীবন ধারণ সম্পূর্ণভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। উচ্ছেদের পরে আমরা কোথায় থাকবো, কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। - গোফরান পলাশ