News update
  • Italian PM Giorgia Meloni to Visit Bangladesh on Aug 30-31     |     
  • BNP to Get 38.76% Votes, Jamaat 21.45%, NCP 15.84%     |     
  • Bangladesh’s Democratic Promise Hangs in the Balance     |     
  • World War III to start with simultaneous Xi, Putin invasions?      |     
  • Election delay anti-democratic, against July-August spirit      |     

সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধের উপায়

মতামত 2022-05-19, 11:20am

diarrhoea-patients-receiving-care-at-a-hospital-13df5f9b2d855265ebf5cd812b0a2a1b1652937612.jpg

Diarrhoea patients receiving care at a hospital



ডাঃ সিরাজুম মুনিরা

বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ডায়রিয়াজনিত রোগ। WHO তথ্যমতে প্রতিবছর ডায়রিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রায় ৫,২৫,০০০ শিশু মারা যায়। বিশ্বব্যাপী, প্রতিবছর প্রায় ১.৭ বিলিয়ন শিশু ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়, অথচ ডায়ারিয়াজনিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য।

বাংলাদেশে প্রতিবছরই সাধারণত শীতের শুরু ও গরম মৌসুমে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই বছর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে এবং মার্চের মাঝামাঝি থেকে বেশ ব্যাপকহারে তা বাড়তে শুরু করেছে। সাধারণত প্রতিবছর এর প্রকোপ শুরু হয় এপ্রিলের শুরু থেকে এবং ছয় থেকে আট সপ্তাহ তা চলতে থাকে। কিন্তু এই বছর ডায়রিয়া যে শুধু আগেভাগেই শুরু হয়েছে তাই নয়, রোগীর

সংখ্যা আগের যেকোনো বছরের চাইতে অনেক বেশি। এবছর গরম একটু আগেই শুরু হয়েছে। মার্চ মাসে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখা গেছে, এই ধরনের তাপমাত্রায় খাবারে দ্রুত জীবাণু জন্ম নেয়। এছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসার জন্য করোনা ভাইরাস বিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি পুরো শিথিল হয়ে যাওয়ায় মানুষজনের ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করার প্রবণতা কমে আসছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম প্রদত্ত সারাদেশে ডায়রিয়ার রোগী জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসের তথ্যে জানা গেছে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া মোট রোগী ৪ লাখ ৬১ হাজার ৬১১ জন। এরমধ্যে মারা গেছে দুজন। ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৭ জন। দেশের ৮টি বিভাগের হিসাবে দেখা যায় ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে

ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে কমেছে। অন্য সব বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। মার্চ মাসে আইসিডিডিআরবি এ প্রতিদিন গড়ে ১ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে যা সর্বমোট ২৯ হাজার ৬৮১ জন। রোগী সামলাতে আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের বাইরে অস্থায়ী তাঁবু টানানো হয়েছে, যা এখানে সাম্প্রতিক কোন বছরে দেখা যায়নি। এই সপ্তাহের শুরুতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।মেয়াদ অনুসারে ডায়রিয়া কে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে: স্বল্প স্থায়ী জলের মতো ডায়রিয়া, স্বল্প স্থায়ী রক্ত যুক্ত ডায়রিয়া, এবং এটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তবে তাকে বলা হচ্ছে

দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া। স্বল্পস্থয়ী জলের মতো ডায়রিয়া কলেরা সংক্রমণের কারণে হতে পারে। যদি এর সাথে রক্ত থাকে, তাহলে এটাকে রক্ত আমাশয় ও বলা হয়। 

ডায়রিয়াজনিত রোগ হয় মূলত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে, সাধারণভাবেই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে যে ডায়রিয়া হয় তার মধ্যে প্রধান কারণ ই-কোলাই ও ভিব্রিও কলেরি ব্যাকটেরিয়া। এগুলো ছড়ানোর মাধ্যমই হচ্ছে এসব জীবাণু দ্বারা দূষিত পানি ও পচা বাসি খাবার। অন্যদিকে শিশুদের মধ্যে শীতকালে রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এই মৌসুমেও শিশুদের রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হচ্ছে।

এছাড়া শিগেলা ব্যাকটেরিয়াও একটি কারণ। প্যাথোজেনিক জীবাণুর সংক্রমণ ছাড়া অন্যান্য বেশ কিছু কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: হাইপারথাইরয়েডিজম, দুধের মধ্যকার ল্যাক্টোজ সহ্য করার অক্ষমতা, অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু ঔষধ এর

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ডায়রিয়া হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে জানার জন্য স্টুল কালচার বা মল পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। 

ই-কোলাই থেকে যে ডায়রিয়া হয় তাতে বমি হবে, পেট কামড়াবে, তারপর পাতলা মল হবে, রোটা থেকে ডায়রিয়া হলে মলের রং সবুজাভ হবে। শিগেলার হলে অল্প করে নরম মল হবে তবে তাতে মিউকাস ও পরে রক্ত থাকতে পারে। গা-গোলানো ভাব থাকতে পারে। মারাত্মক ডায়রিয়া হলে রাইস ওয়াটার স্টুল অর্থাৎ চাল-ধোয়ার পানির মত দেখতে প্রচুর পাতলা পায়খানা হয়।মারাত্মক ডায়রিয়ার রোগীর শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে যায়। চোখ গর্তে চলে যায়, জিহ্বা শুকিয়ে যায়, রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা চলে যায় অর্থাৎ চিমটি দিলে ত্বক কুঁচকে থাকে, অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে নাহলে পানিশূন্যতার কারণে এসব রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি আছে।

কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সাধারণত পানি ও খাবার এর মাধ্যমে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে পথে-ঘাটে উন্মুক্ত হোটেল রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য অনিরাপদ উৎস থেকে পানি ও খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস চালু রাখতে হবে। বিভিন্ন রোগ জীবাণুর আক্রমণ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখার সবচেয়ে “কার্যকর টিকা” হচ্ছে নিয়মিত হাত ধোয়া রাস্তার পাশে এই সময় খোলা

পরিবেশে চটপটি, ফুচকা, আচার, লেবুর শরবত, আখের রস বা ফল কেটে বিক্রি করা হয়, এগুলো যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে এবং বাসি পচা খাবার খাওয়া যাবেনা।

অত্যধিক গরমে অধিক পানির পিপাসা লাগাই স্বাভাবিক, চেষ্টা করতে হবে নিরাপদ পানি সাথে বহন করার। যেখানে পয়ঃনিষ্কাশন বা স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিম্নমানের সেখানে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি তাই উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন বা স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে, বাড়ির চারপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং সম্ভব হলে রোটা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে হবে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর বারবার পাতলা পায়খানা করার ফলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এর ফলে রোগী পানিশূন্য হয়ে পড়ে সে কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়া শুরু হলে আধা সের/লিটার বিশুদ্ধ পানিতে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ভালোভাবে মিশিয়ে রোগীকে খাওয়াতে হবে। বয়স ২ বছরের নিচে হলে তাদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চা- চামচ ২ বছরের বেশি হলে ২০ থেকে ৪০ চা-চামচ করে যতবার পাতলা পায়খানা হবে

ততোবারই খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। হাতে বানানো খাবার স্যালাইন ৬ ঘন্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যাবে।মূলত গরমকালে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঠিকভাবে পানি ও লবণ পূরণ করা হলে এটি কখনো গুরুতর আকার ধারণ করে না। বেশিরভাগ ডায়রিয়া এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন, খাওয়া এমনকি এর চিকিৎসা নিয়ে এখনো রয়ে গেছে কিছু ভুল ধারণা:

উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন রোগীরা ডায়রিয়ার আক্রান্ত হলে ওরস্যালাইন খেতে বিভ্রান্তিতে ভোগেন। কেননা স্যালাইনে লবণ আছে, তাদের আশঙ্কা ওরস্যালাইন খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। এটি গুরুতর ভুল ধারণা। প্রতিবার পাতলা পায়খানার সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বের হয়ে যায় এবং তা যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে রোগীর পানিশূন্যতা, লবণশূন্যতা এমনকি রক্তচাপ কমে গিয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে মৃত্যুও হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে ওরস্যালাইন খেতে নিষেধ নেই। ওরস্যালাইনে চিনি বা গ্লুকোজ থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ওরস্যালাইন খেতে ভয় পান, মনে করেন, ওরস্যালাইন খেলে ডায়াবেটিস বাড়তে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওরস্যালাইনে যে সামান্য চিনি বা গ্লুকোজ আছে, তা অন্ত্রে লবণ শোষণের কাজে ব্যয়িত হয়। সুতরাং ডায়রিয়ার সময় ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দ্বিধায় ওরস্যালাইন খেতে পারবেন। যারা কিডনির জটিলতায় ভোগেন তারা অনেকেই ডায়রিয়ায়

আক্রান্ত হলে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, কারণ স্বাভাবিকভাবে তাদের নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি মেপে খেতে বলা হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডায়রিয়ার অধিক পরিমাণ পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, ফলে পানিশূন্যতার ফলে কিডনি রোগ আরও বাড়তে পারে। সুতরাং প্রয়োজনে অতিরিক্ত তরল গ্রহণ করতে হবে। অনেকেই বিভ্রান্তিতে ভোগেন, ডায়রিয়া হলে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারবেন কিনা। আসলে ঘরে

তৈরি পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত সব ধরনের স্বাভাবিক খাবারই খেতে মানা নেই। ভাত, মাছ, ডাল, সবজি ইত্যাদি স্বাভাবিক ও সহজপাচ্য খাবার খেতে কোনো বাধা নেই।

স্তন্যপানরত শিশুরা কোনো অবস্থাতেই বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করবে না। রোগীকে কোমল পানীয় বা ফলের জুস বা আঙুর বা বেদনা খাওয়ানো যাবে না। ফিডারে শিশুকে কিছু খাওয়ানো স্বাস্থ্যকর নয়।

স্যালাইন কতটুকু খেতে হবে তা নির্ভর করবে কতবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে বা কতটুকু পানি হারাচ্ছেন তার ওপর। ডায়রিয়ার কারণে একজন মানুষ মাত্র কয়েক ঘণ্টায় এক দেড় লিটারের বেশি পানি হারাতে পারেন। সবচেয়ে সহজ হিসাব হলো প্রতিবার পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া এবং অল্প অল্প করে সারা দিন বার বার খাওয়া। এর বাইরে সারা দিন পানি ও তরল খাবার যেমন স্যুপ, ডাবের পানি, ভাতের

মাড় ইত্যাদি খেতে হবে। অনেক সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে বমি বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। মানুষ স্বভাবতই ফার্মেসি থেকে বমি বা পাতলা পায়খানা দ্রুত বন্ধের জন্য ওষুধ খান, যা একেবারেই ঠিক নয়। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাওয়া ঠিক হবে না। সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক জরুরি নয়। প্রয়োজন হলো, দেহের লবণ ও পানিশূন্যতা পূরণ। দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।

অনেকে শিরায় স্যালাইন নিতে ভয় পান। কিন্তু ডায়রিয়ায় মাত্রা যদি তীব্র হয় তাহলে শুধু মুখে স্যালাইন পান করে শরীরে সৃষ্ট পানিশূন্যতা পূরণ করা সম্ভব না। তাই প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন নিতে হবে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আন্তরিকভাবে তৎপর আছে।বর্তমানে ডিজিএইচএস সারাদেশে ২২টি নজরদারি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, আইভি ফ্লুইড স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ রয়েছে। এছাড়া চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, দেশের প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র কে ডায়রিয়া চিকিৎসায় সক্ষম করে তোলা হয়েছে। স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হচ্ছে। দেশের চলমান ডায়রিয়ার প্রকোপ মোকাবেলায় ২৩ লাখ মানুষকে মুখে খাওয়ার মারাত্মক ডায়রিয়ার টিকা দেবে সরকার। গর্ভবতী নারী ছাড়া এক বছর বয়স থেকে বড় সব বয়সের মানুষ কে এটি দেওয়া হবে। দেশের চলমান ডায়রিয়া সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডায়রিয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা সারাদেশে একই, ঢাকার বাইরে থেকে একজন রোগীকে আইসিডিডিআর,বি-তে আনার যাত্রা তাদের অবস্থা আরো খারাপ করে দেয়।

উপজেলা, জেলা হাসপাতালে ডায়রিয়া মোকাবেলার জন্য সমস্ত সংস্থান রয়েছে। অল্প ডায়রিয়া থাকতেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। সর্ব স্তরের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের আশা বৃষ্টিপাত হলে বা কোব কারনে তাপমাত্রা কমে আসলে ব্যাকটেরিয়াজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ কমে আসবে, তবে আমরা মনে করি যতক্ষণ না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে ততক্ষন

আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমেরও উচিত ডায়রিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। মনে রাখতে হবে “প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর”।

লেখক- সিভিল সার্জন বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা ১৭.০৫.২০২২ পিআইডি ফিচার