News update
  • AC Tabassum Urmi sacked over anti- govt Facebook posts     |     
  • Bangladeshi killed in BSF firing at Chuadanga border      |     
  • Rains Fuel Disasters in 83pc of Brazilian Cities: Report     |     
  • Hamas ready and serious to reach an accord if it ends war     |     
  • Paradise lost: Cox’s Bazar tourists shocked by wastes at sea     |     

আফগান নারী সাংবাদিকরা তালিবানের নারীবিদ্বেষের শিকার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2023-09-01, 11:29am

03180000-0aff-0242-7893-08da3f28d60f_w408_r1_s-868d84a0a42d1dd51b88d7a0ddc4a46e1693546145.jpg




২০১৬ সাসে আফগানিস্তানে মধ্য-দক্ষিঞ্চলের থেকে অভাবনীয় এক যাত্রা শুরু করেছিল এক তরুণী যাকে আমরা তার পরিচয় গোপন রাখার জন্যজারগুনা বলে সম্বোধন করব। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সে গজনি প্রদেশের একটি স্থানীয় রেডিও স্টেশনে যোগদান করেছিল। তার কণ্ঠস্বর সবাই শুনুক এটাতে ছিল তার আগ্রহ। প্রাথমিকভাবে তাকে তরুণদের জন্য একটি দৈনিক বিনোদন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জারগুনাকে তার ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিভার জন্য খুব শীঘ্রই আরও চ্যালেঞ্জিং কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

"আমি একটি রান্নার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সচেতনতা সম্পর্কিত অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করতাম”, তিনি কথাগুলো বলেছিলেন স্মৃতি বিজড়িত কণ্ঠে।

২০২১ সালে মধ্যে জারগুনার কর্মজীবন যখন উর্ধ্বমুখী তখন তিনি কাবুলে সাংবাদিকতায় উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ এবং রাজধানী শহরে জাতীয় মিডিয়াতে কাজ করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।

কিন্তু বছর শেষ হওয়ার আগেই সবকিছু নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায়।

ঐ বছরের আগস্টে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রথম পদক্ষেপ ছিল মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা। জারগুনার মতো অগণিত তরুণীর আশা কেড়ে নেওয়া হয়। নতুন ইসলামি সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব নারী সরকারি কর্মচারীর চাকরিও বাতিল করে দেয়।

আফগানিস্তানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন তাদের সব নারী সাংবাদিককে বরখাস্ত করেছে এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেলের উপস্থাপকদের মুখোশ পরতে বাধ্য করা হয়েছে।

তালিবানের লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্যমূলক শাসনের অধীনে নারী সাংবাদিকদের পুরুষ সরকারী কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নারীরা তাদের সঙ্গে একজন পুরুষ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতে পারবে না এবং রিপোর্টিংয়ের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নারীদের সাংবাদিকতা থেকে বের করে দেয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা এই নিয়মগুলো জারগুনা এবং আরও অনেক তরুণীর জন্য একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে, যারা মরিয়া হয়ে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে চায়।

নারীদের সাংবাদিকতা করা থেকে বের করে দেয়ার উদ্দেশ্যে এই নিয়মগুলো তৈরি করা হয়েছে যা জারগুনা এবং আরও অনেক তরুণীর জন্য দারুণ ভয়াবহ কারণ তারা নানা বাধাবিপত্তি থাকা সত্বেও সাংবাদিক হিসেবেই কাজ করতেই।

এই অন্ধকার বাস্তবতা সত্ত্বেও প্রায় দুই বছর ধরে জারগুনা তালিবানের ঘোষণার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন যে এখন স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মেয়েদের জন্য পুনরায় খোলা হবে এবং নারীদের কাজে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে অন্যরা এমন কোনো আশা রাখে না।

মধ্য বামিয়ান প্রদেশের একজন সাংবাদিক যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মদিনা বামিয়ানি (তার আসল নাম নয়) তিনি বলেন “ভবিষ্যত আরও অন্ধকার তা আমি দেখতে পাচ্ছি। [নারীদের বিরুদ্ধে] বিধিনিষেধ দিন দিন বাড়ছে এবং তালিবান আমাদের ভোগান্তি বিবেচনা করে না।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।