News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

কেমন কাটলো ফিলিস্তিনিদের ঈদ?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2024-06-16, 9:23pm

rtytryrty-7e6a02edbf4a13def3f165cb945dfa571718551436.jpg




ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলার মধ্যেই পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায়। রোববার (১৬ জুন) ঈদ উদযাপন করেন গাজা ও অধিকৃত পশ্চিমতীরের শোকাহত ফিলিস্তিনিরা। এদিন ধ্বংসস্তূপের মাঝেই ঈদের নামাজ পড়েন তারা। খবর আলজাজিরার।

টানা আটমাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বর্তমানে তারা গাজার সর্ব দক্ষিণের শহর রাফার পশ্চিমাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া মধ্য গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে স্বজনহারা ফিলিস্তিনিরা।

মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আলজাজিরার হানি মাহমুদ বলেন,  এই হামলাগুলো মানুষকে আরও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের অতর্কিত বোমা হামলার পাশাপাশি ক্ষুধা ও পানিশূন্যতার সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদের প্রথমদিন আমরা লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারকে দেখছি, তাদের মধ্যে অনেককে শোক পালন করতে দেখেছি।

একই এলাকা থেকে আলজাজিরার তারেক আবু আজ্জুম বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা আশার অনুভূতি আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে।’

তিনি আরও বলেন,ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন সত্ত্বেও শিশুদের আনন্দ দেয়ার জন্য ফিলিস্তিনিরা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। অনেক শিশুই তাদের বাবা-মাকে ছাড়া উদযাপন করবে।

এর আগে, শনিবার (১৫ মে) রাতে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইল সব ক্রসিং থেকে গাজায় কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের ঈদুল আজহার অংশ হিসেবে কোরবানি করতে বাধা দিচ্ছে।’

এদিকে, রোববার খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের জন্য ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ঘোষণা অনুযায়ী, ‘এখন থেকে প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে। আর পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিরতি কার্যকর থাকবে। এ সময়ে কেরেম শালম ক্রসিং দিয়ে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করতে পারবে। তারপর সেই ত্রাণ সামগ্রী সালাহ আল দীন সড়ক দিয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানো হবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ বর্বরতায় ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে।