পোশাকবিধি অমান্য করলে গণমাধ্যম সংস্থাগুলি থেকে নারী সাংবাদিক ও সার্বিকভাবে নারীদের নিষিদ্ধ করার কথিত হুঁশিয়ারি দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, তালিবান নির্ধারিত পোশাকবিধি অনুযায়ী, নারীদের এমন পোশাক পরতে হবে যাতে কেবল চোখটুকু দৃশ্যমান হয়।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক সংগঠন আফগানিস্তান জার্নালিস্ট সেন্টার বা এএফজেসি বলেছে, তালিবানের পুণ্যপ্রচার ও পাপরোধী মন্ত্রণালয়ের প্রধান মহম্মদ খালেদ হানাফি কাবুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মঙ্গলবার এই সতর্কতা জারি করেছেন।
এএফজেসি তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে ওই মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল গাফফার ফারুককে উদ্ধৃত করেছে। সাংবাদিক বৈঠকে ফারুক সুপারিশ করেছেন যে, তারা “একটি শালীন পোশাকবিধি মেনে চলেন; কালো পোশাক ও পর্দায় মুখের বেশিরভাগটা আবৃত (শুধু চোখটুকু দৃশ্যমান) নারীদের ছবি দেখানো যেতে পারে।”
ওই সংগঠন বলেছে, “যে সকল নারী হিজাব পরবেন না বা নিজেদের মুখ পুরোপুরি আবৃত করবেন না” তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকে এড়াতে টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন ফারুক।
এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হানাফি সতর্ক করেছেন যে, এই নির্দেশিকা মানতে ব্যর্থ হলে গণমাধ্যমে কর্মরত নারীদের উপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন” তালিবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কথিত বৈঠক বা এর বিস্তারিত বিবরণ সম্পর্কে এখনও মন্তব্য করেননি।
ষষ্ঠ শ্রেণির পর কিশোরীদের শিক্ষা অর্জনকে নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। স্বাস্থ্য ক্ষেত্র ছাড়া জাতিসংঘসহ বেসরকারি মানবিক গোষ্ঠীগুলিতে নারী ত্রাণ কর্মীদের কাজ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি পাবলিক উদ্যান, জিম ও স্নানাগারে যাওয়ার অনুমতি নেই নারীদের।
আফগান মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি রিচার্ড বেনেট “এই পশ্চাদগামী ক্রিয়াকলাপ রুখতে ও আফগানদের ভরসা জোগাতে” তালিবান ও বহির্বিশ্বকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তালিবান তাদের সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ইসলামি শারিয়া আইন ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে তারা সঙ্গতি বজায় রেখেছে। ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।