News update
  • Govt Declares 3-Day Mourning, Wednesday Holiday for Khaleda Zia     |     
  • Khaleda Zia: Icon of Bangladesh’s Democracy and Leadership     |     
  • Over 1 Million Voters Register for Postal Ballots in Bangladesh     |     
  • Begum Khaleda Zia, Uncompromising Leader of Bangladesh, Dies     |     
  • 2,582 candidates submit nomination papers for Bangladesh polls     |     

বাংলাদেশের জন্য খালেদা জিয়া আজীবন অবদান রেখে গেছেন: শেহবাজ শরীফ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-12-30, 11:24am

img_20251230_112400-55025762ad1ca3aba04bbdad55d5c8071767072260.jpg




বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য খালেদা জিয়া আজীবন অবদান রেখে গেছেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। বেগম জিয়া পাকিস্তানের একজন নিবেদিত বন্ধু ছিলেন।

শেহবাজ শরীফ আরও ব‌লেন, আমার সরকার এবং পাকিস্তানের জনগণ এই দুঃখের মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা তার আত্মার শান্তি কামনা করুন।

এর আগে, ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় খালেদা জিয়ার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

বেগম জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন খালেদা জিয়া, কারাভোগ করেছেন। চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হয়নি। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম জিয়া। এরপর করোনার কারণে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিলেও গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় বন্দি রাখা হয়। 

আওয়ামী লীগের শাসনামলে চিকিৎসা না পাওয়ায় ধীরে ধীরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় খালেদা জিয়ার।

এরমধ্যে ২০২৪ সালের জুলাইতে কোটা সংস্কার আন্দোলন দাবিতে দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন, যা শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের আন্দোলনে গড়ায়। টানা ৩৫ দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে পর ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। তার স্বাস্থ্যের অনেকটা উন্নতি হয়েছিল। তবে নানা রোগে জটিলতা ও শরীর–মনে ধকল সহ্য করে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। বয়সও ছিল প্রতিকূল। প্রায়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হতো। 

সবশেষে গত ২৩ নভেম্বর তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক মাসের কিছু বেশি সময় তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।