News update
  • Bangladesh criticises Rajnath remarks on Yunus     |     
  • ‘Very unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Sunday morning     |     
  • Harassment, corruption shade Begum Rokeya University, Rangpur     |     
  • Sikaiana Islanders Face Rising Seas and Uncertain Future     |     
  • BD Election Commission to begin political dialogue this week     |     

সংকটে গলদা চিংড়ির উৎপাদন!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মৎস 2024-11-28, 2:06pm

4a3b5138d5810c1f97c414c80c90d7a7dff21f856db07256-30ecf68df66fc44b5956d60d43999d041732781207.jpg




সময়োপযোগী মানসম্মত পোনা না পাওয়া ও খাবারসংকটে বাগেরহাটে ব্যাহত হচ্ছে বড় আকারের গলদা চিংড়ি উৎপাদন। সংকটের সমাধান হলে বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ বেশি রফতানি সম্ভব বলে মনে করে চিংড়ি চাষি সমিতি। এদিকে, মৎস্য বিভাগ জানায়, সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে চিংড়ির উৎপাদন বাড়বে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা বাগেরহাট। সবচেয়ে বড় আকারের গলদা চিংড়ি চাষ হয় এখানে। চার থেকে ৫টি গলদা চিংড়িতেই এক কেজি ওজন হয়। প্রতিটির আকার ৩৫ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার। বাদামি ও কালো রঙের শরীরে ডোরাকাটা দাগ, যা দেখতে বাঘের শরীর যেন।

সর্বোচ্চ আকারের এ চিংড়ি উৎপাদনে সময় লাগে এক বছর। মাঝারি ও বড় আকারের চিংড়ি বেশিরভাগই রফতানি করা হয়। শীতকালে বেশি বৃদ্ধি না পাওয়ায় ছোট গলদা বিক্রি হয় দেশের বাজারে। আর বর্তমানে বড় আকারের প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৬০০ টাকায়।

তবে মানসম্মত পোনা না পাওয়া ও উন্নতমানের খাবারসংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান চাষিরা। তারা বলেন, বর্তমানে মিলছে না ভালো মানের পোনা; পাশাপাশি বেড়েছে এর খাবারের দামও। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, যাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রফতানিও।

চিংড়ি চাষি সমিতির মতে, উৎপাদনসংকট কমে আসলে গলদা চিংড়ি বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ বেশি রফতানি সম্ভব। বাগেরহাট চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন,

ভালো ব্রিডের পোনা পেলে ও খাবারের দাম নাগালে আসলে বাড়বে উৎপাদন। পাশাপাশি চাষিদের জন্য সরকারকে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে হবে। এতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও বাড়ানো সম্ভব হবে।

তবে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে চিংড়ির উৎপাদন বাড়বে বলে জানায় মৎস্য বিভাগ। বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, উন্নতমানের খাবার, ভাইরাসমুক্ত পোনা ব্যবহার ও ঘেরের গভীরতা বাড়ানোর মাধ্যমে মাছের আকার বাড়ানো সম্ভব। তাই আধুনিক পদ্ধতিতে চাষিদের আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এতে উৎপাদন বাড়লে রফতানির পরিমাণও বাড়বে।

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, এ জেলায় ৪৪ হাজার ৭২৮টি গলদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। গত অর্থবছরে গলদার উৎপাদন ছিল ১৯ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন। সময় সংবাদ।