সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।
এর আগে, বহু নাটকীয়তার পর বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গা নয়াপল্টনে ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেল থেকেই দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। তবে, শুরুতে পুলিশ তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলেও সন্ধ্যার পর সেই চিত্র পাল্টাতে থাকে। নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে কিছুটা নীরব হয়ে পড়েন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে, সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় ডিএমপিকে বিএনপির ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিএমপির ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, আশা করি তারা বিএনপির মহাসমাবেশের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবেন। সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সমাবেশে লাঠিসোঁটা, কোনো ব্যাগ বহন করা যাবে না। রাষ্ট্রদ্রোহ কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, কোনো কুচক্রীমহল যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সমাবেশ এলাকায় বিজিবি মোতায়েন থাকবে।
উল্লেখ্য, এক দফা দাবিতে গত ২২ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৭ জুলাই সমাবেশ করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু ডিএমপির পক্ষ থেকে এই দুটি জায়গায় একটিতেও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার জানান, বৃহস্পতিবার কর্ম দিবস থাকায় নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে যানজট সৃষ্টি কারণে জনদুর্ভোগ হবে। এ ছাড়া ‘হাইকোর্টের অবজারভেশন’ থাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করা যাবে না। তাই, বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডিএমিপর এমন বক্তব্যের পর বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে বিএনপির নেতারা বৈঠকে বসেন। পরে রাত ৯টার দিকে মহাসমাবেশ এক দিন পিছিয়ে শুক্রবার (২৮ জুলাই) বাদজুমা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।