News update
  • Bangladesh’s Finance Sector Stabilises, Challenges Remain     |     
  • Govt Proposes Up to Tk1cr for Milestone Crash Victims     |     
  • Hadi Killing: Inqilab Mancha Sets 24-Day Justice Ultimatum     |     
  • Alliances Race to Settle Seat Deals as Nomination Deadline Ends     |     
  • Bangladesh Bank Buys $115 Million to Support Forex Market     |     

ছাত্রলীগের ২ নেতাকে মারধর, এডিসি হারুনের বিচার চায় ছাত্রদল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2023-09-11, 8:05am

resize-350x230x0x0-image-239270-1694368994-2211c8fe5a520df4a64bce2f7c3c42b11694397951.jpg




থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিচার দাবি করেছে ছাত্রদলের ঢাবি শাখা।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করে। এর আগে, এ হামলায় আহত হন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। এ ঘটনার পর হারুন অর রশিদকে রমনা বিভাগ থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।

ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের মদদে ছাত্রদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের কলঙ্কজনক সংস্কৃতির শিকার এখন খোদ ছাত্রলীগ। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম রক্ষাকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ ফ্যাসিবাদের দুই ফুট সোলজারকে থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে দাঁত ভেঙে ফেলেছে। বিগত পনের বছর ধরে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ছাত্রদলসহ সকল বিরোধী ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রদের নির্মম নির্যাতন করেছে। নির্যাতিত, মুমূর্ষু ছাত্রদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশ তাদেরকে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে এনে আবার নির্যাতন করেছে।

‘বিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপরে অমানবিক পুলিশি নির্যাতনের ঘটনাগুলোতে বুনো উল্লাস করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ বাহিনী যখন ভোটডাকাতির দায়িত্ব নিয়েছে, তখন রাজনীতি ছেড়ে ছাত্রলীগের নেতারা টেন্ডারবাণিজ্য প্রশ্নফাঁস এবং চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত হয়েছে। আজ তাদের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরেও ছাত্রলীগের কেউ কোনো প্রতিবাদ জানাতে সক্ষম হয়নি। এতেই বুঝা যায় ছাত্রলীগ এখন নীতি-আদর্শহীন একটি দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে। একজন নিম্ন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার ভয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্রলীগ তটস্থ। উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা যাবজ্জীবন কারাদন্ডযোগ্য অপরাধ করার পরেও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়ার ন্যূনতম সাহস ছাত্রলীগের নেতারা দেখাতে পারেনি। তারাও জানে যে, পুলিশের সাথে মিলেমিশে পুলিশি রাষ্ট্রে তারা যে মাৎস্যন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে তাতে তাদেরও বিচার পাওয়ার কোন সুযোগ অবশিষ্ট নাই।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতীতে পুলিশ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে ভয় পাচ্ছে। পুলিশের অনুগ্রহ ভিক্ষা করে ছাত্রলীগের শীর্ষনেতাদের রাজনীতিতে টিকে থাকার অভিলাষের কারণে এখন পথেঘাটে ছাত্রনেতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্যাতিত হচ্ছে। নিজেদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্যাতনকারী এক অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ না করে ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে ছাত্রলীগ কলঙ্ক লেপন করেছে। ছাত্রলীগের মতো একটি পুরনো ছাত্রসংগঠনের এহেন অমর্যাদাকর অবস্থানের কারণে নিন্দা ও হতাশা প্রকাশ করি।

বিজ্ঞপ্তিতে দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনসহ অতীতের সকল পুলিশি নির্যাতনের দায়ে এডিসি হারুনকে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।