News update
  • Arab-Islamic Summit Warns Israel Attacks Threaten Ties     |     
  • South-South Cooperation: Building Innovation and Solidarity     |     
  • Consensus must; polls to be a grand festival: Prof Yunus     |     
  • Salahuddin sees security risks if polls miss February deadline     |     
  • Qatar denounces Israel before major summit over Doha attack      |     

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় খালেদা জিয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-01-11, 7:21pm

1704977810-e307ec5d0a0f1ab719bfb29519a469831704979331.jpg




টানা পাঁচ মাসের অধিক সময় হাসপাতালে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এখন তিনি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের নেতাকর্মীরা।

এর আগে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করলে ম্যাডামকে বাসায় আনার সিদ্ধান্ত হয়।

২০২৩ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যায় অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়।

একই হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালীতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসক দেশে আসেন। ওই তিন চিকিৎসক হলেন—যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন। অস্ত্রোপচারের ফলে লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা কিছুটা উপশম হবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।

বিএনপির দাবি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরোনো হয়।

খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।