Kazi Abul Khair, SG, Bangladesh Muslim league addressing a discussion meeting marking the death anniversary of Nawab Sirajud Daulah on Saturday.
তৎকালীন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাবদের থেকে অনুগ্রহ ও সুবিধাপ্রাপ্ত বর্ণবাদী হিন্দু নেতারা বাংলা থেকে ৫৫২ বছরের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটাতেই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে হাত মেলায়। মসনদের মোহে পড়েই মীর জাফর আলী খান, জগৎশেঠ মহাতপ চাঁদ গংদের সাজানো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে দেশ, জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। ইতিহাসের ঘৃনিততম এই বিশ্বাসঘাতকতা বাংলার স্বাধীনতা ১৯০বছরের জন্য বেনিয়া ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিল। বর্তমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিল্লীর হিন্দুত্ববাদী সরকার ধারাবাহিক ভাবে যে সব ষড়যন্ত্র করছে তার সাথেও পলাশী যুদ্ধ পূর্ববর্তী পরিস্থিতির সাথে সাদৃশ্যতা আছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব শহীদ সিরাজ-উ-দ্দৌলার ২৬৮তম শাহাদাত বার্ষিকী (২রা জুলাই,২০২৪) উপলক্ষে আজ (২৯জুন, ২০২৪) সকাল ১১.০০টায় জাতীয় প্রেস কøাবের আব্দুস সালাম হলে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলীয় নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে “ফিরে দেখা পলাশী ট্র্যাজেডি ও আজকের প্রেক্ষাপট” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এড. মহসীন রশিদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মেজর (অব.) এম. সারোয়ার হোসেন, এবি পার্টির মহাসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জামায়েত ইসলামী মজলিসে সুরা সদস্য ড. এ্যাড. হেলাল হোসেন, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি সভাপতি ড. এ.আর খান, জাগপা সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বিশিষ্ট কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কবি মাহমুদ হাসান নিজামী, নবাব সিরাজউদ্দৌলার বংশধর নবাবজাদা আলী আব্বাসউদ্দৌলা। মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, মতিন ইবনে রহমান, মোহাম্মদ আলী, আজিজুল হক প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজও জগৎশেঠ-মীর জাফরদের উত্তরসূরিরাই ভারতকে এক তরফা সুবিধা দিয়ে রেল ট্রানজিট দিতে চায়। মানচিত্র দ্বিখণ্ডিত করে, নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে রেল ট্রানজিট জনগণ মেনে নেবে না। পলাশী ট্র্যাজেডির সময় শহীদ নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা দেশপ্রেমের মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যেমন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তেমনি বর্তমান সময়েও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে দেশপ্রেমিক জনগণ যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। নব্য মীর জাফর-ঘসেটি বেগমদের হুশিয়ার করে নেতৃবৃন্দ বলেন, মীরজাফরের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিন; ইতিহাসে ঘৃণিত মীর জাফরের কাতারে দাঁড়াবেন নাকি দেশপ্রেমের প্রতীক মীরমদন-মোহনলালদের কাতারে থাকবেন।