Bangladesh Muslim League logo
বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে বরাবরের মত দমন-পীড়নের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনী সহ দলীয় সমর্থক সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থী তথা জনগণের উপর দফায়-দফায় কার্যত গণহত্যা চালিয়েছে। এরকম নৃশংস-বর্বরোচিত গণহত্যা চালানোর পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন পূর্বক কারফিউ জারী করেও জনগণকে ঘরে ফেরাতে পারেনি, বরং আন্দোলন দাবানলের মত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
পাশাপাশি দীর্ঘদিনের মানবাধিকার, ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা হারানোর পুঞ্জিভূত ক্ষোভে সারাদেশের সাধারণ মানুষও আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের সূচনা করেছে। বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিণত হয়েছে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে । সর্ব শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে বিচলিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে আর নিজেদের ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে না পেরে ক্ষমতাসীনরা আবারও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে। সরকার দলীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলা ও গুলিতে আজ(০৪ আগস্ট, ২০২৪) অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সারাদেশে কমপক্ষে ২৫জন শহীদ ও অগুনতি মানুষ আহত হয়েছে। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ কোটা আন্দোলন ও সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে সকল হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করে। এত কিছুর পরও আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ সরকার আবারও কারফিউ জারী করে গণদাবীকে দমন করতে চাইছে। সরকারের বোঝা উচিত, এ গণজাগরণ-গণবিস্ফোরণ রুখবার সাধ্য কারো নেই, তাদেরকে পদত্যাগ করতেই হবে এবং যত দ্রুত পদত্যাগ করবেন ততই দেশ-জাতি সর্বোপরি তাদের দলের জন্য মঙ্গলজনক। বর্তমান অবস্থায়, উল্লেখযোগ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো থেকে প্রস্তাবিত উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে একথা বলেন। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি