News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক, যে বার্তা দিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2025-01-08, 1:46pm

rgrtewrwer-1da0f4cab0b37827893c81db81d64b111736322416.jpg




হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নতুন কোনো ভাইরাস নয় বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন। ২০০১ সালে আবিষ্কৃত ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘরানার এই ভাইরাস বহু আগেই বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলছেন, আতঙ্কিত না হয়ে ছড়িয়ে পড়া রোধে মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়াসহ বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে সাবধান থাকতে হবে শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতীদের।

উন্নত দেশগুলো করোনা অতিমারির ধাক্কা অনেকটা সামলে উঠলেও উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি এখনও এর ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি চীন, জাপান, মালেশিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হিউম্যান হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ায় আবারও উদ্বেগে বিশ্ব।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভারতে দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবরে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশেও। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস বহু আগে থেকেই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির গবেষণা অনুযায়ী, এইচএমপিভির কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া হতে পারে। ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী এই ভাইরাস শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতীদের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ আইইডিসিআরের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন।

এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস অনেক আগে থেকেই আছে। এটি নিয়ে বিশেষ কোনো উদ্বেগের কারণ নেই। এটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই একটা রোগ। তবে এই রোগটাকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা উচিত। কারণ যে ভাইরাস দ্রুত মানুষ থেকে মানুষে রোগ ছড়ায়, সেটা মানুষকে অসুস্থ করার ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, ‘শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য অন্যন্য ভাইরাসের মতো এই ভাইরাসেও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি হলে তাদেরকে অবশ্যই আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে।’

২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসের ২৮ শিশুর শরীরে ছড়িয়ে পড়লে আবিষ্কার হয় ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘরানার এই ভাইরাস।