News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

এইচএমপিভি ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2025-01-09, 12:27pm

tyerter-7cf7e4a2a1c5aaf462b09fe49dd4f80a1736404033.jpg




করোনা ভাইরাসের মতো এইচএমপিভি নামে নতুন একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। বিশেষ করে এ ভাইরাস মানুষের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।

এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস) সাধারণত ঠান্ডা-সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্টজনিত গুরুতর রোগ সৃষ্টি করতে পারে। শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত মানুষের জন্য ভাইরাসটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

ভাইরাসটি যেভাবে ছড়ায়:

১. সংক্রামিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে নির্গত ড্রপলেট বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে সংক্রামিত ব্যক্তির মাধ্যমে এইচএমপিভি ভাইরাস ছড়ায়। এটি অন্যের শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে।

২. করোনা আক্রান্ত রোগীর মতোই ভাইরাস আক্রান্ত দরজার হাতল, মোবাইল ফোন বা অন্য কোনোবস্তু স্পর্শ করার পর হাত চোখ, মুখ বা নাকে লাগালে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

৩. এ ছাড়া সংক্রামিত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে এলে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।

লক্ষণ:

হালকা লক্ষণ: হালকা জ্বর, সর্দি, কাশি, নাক বন্ধ ও গলাব্যথা হতে পারে।

গুরুতর লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ (পোস্টমোনিয়া বা ব্রংকিওলাইটিস), বুকে চাপ অনুভব, ক্রমাগত উচ্চজ্বর, খাবার গ্রহণে অনীহা (বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে) দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা

এইচএমপিভি ভাইরাসের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। এটি মূলত স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে সেরে ওঠে। তাই এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মূলত উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

যেমন জ্বর কাশি কমাতে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন, নাক বন্ধ থাকলে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার করতে স্যালাইন ড্রপ ব্যবহার, শ্বাসকষ্টের জন্য বাষ্প গ্রহণ বা নেবুলাইজার ব্যবহার। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। এইচএমপিভি ভাইরাস সাধারণত ১-২ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। তবে লক্ষণগুলো গুরুতর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ সিডিসি বলছে, এইচএমপিভি রয়েছে এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাঁশির ড্রপলেট লেগে থাকা স্থান যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়ালে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।

প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা:

এইচএমপিভি সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে কোভিড-১৯ এর মতোই সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল বা হাতের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল নেদারল্যান্ডসে। বাংলাদেশেও ২০০১ সাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। ২০০১ সালের আগে থেকেই এই ভাইরাসটি পৃথিবীতে ছিল। কিন্তু নতুন করে বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়ে ২০০১ সালে।