কোনোভাবেই কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিনিয়তই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। চলতি মাস ও আক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি জ্বরের দ্বিতীয় দিন ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৩০৯ জন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬৩১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। আর ঢাকার বাইরে মারা গেছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে।
রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে সম্প্রতি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শুরুতে জ্বর-বমি ও তীব্র শরীর ব্যাথা নিয়ে আসছেন বেশিরভাগ রোগী।
হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. রিফাত আল ইমন বলেন, ডেঙ্গুর প্রথম লক্ষণ যেহেতু জ্বর, তাই অনেকেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে, নিজ থেকেই ওষুধ খেয়ে ডেকে আনছেন বিপত্তি। অবহেলা করায় অনেককে আইসিইউ পর্যন্ত যেতে হচ্ছে।
জ্বরের দ্বিতীয় দিনই ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক। পাশাপাশি প্যারাসিটেমল আর বেশি বেশি পানি পান করার কথাও জানান তিনি।
শঙ্কা প্রকাশ করে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলন, এ মাসে ডেঙ্গু বাড়ার একটি ঝুঁকি তৈরি হবে। কারণ, বৃষ্টির পর জমে থাকা পানিতে এডিস মশার প্রজনন হবে। সেপ্টেম্বর নয়, অক্টোবরেও ডেঙ্গু ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।’
মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।