News update
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     

ছয় মাসে ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2024-06-30, 6:38pm

fdrerert-5fcb105ebe1942a7899d049813dfec891719751099.jpg




শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ খাতে ব্যয় বরাদ্দের ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবে বিরোধী দলের সদস্যদের আলোচনার পর দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাসে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষককে এনটিআরসিএ এর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোতে এমপিও শূন্য পদে নিয়োগ দিতে পেরেছি।

স্কুলভবন নির্মাণের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২১ হাজার ৭৩২টি ভবন সরাসরি বিদ্যালয়ের জন্য তৈরি করতে পেরেছি। এ অধিদপ্তরের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ হচ্ছে।

গবেষণা খাতে বরাদ্দ প্রসঙ্গে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গবেষণা খাতে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রতিষ্ঠা করা এবং গবেষণা খাতে প্রথম সরকারি বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেছিলেন। সরাসরি যার সুফল আমরা পাচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গবেষণায় এক লাখ টাকা দেওয়া হয়, এটা সত্য নয়। আমাদের নানান খাত থেকে গবেষণায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখি গবেষণায় বরাদ্দকৃত অর্থও যথাযথভাবে খরচের ক্ষেত্রে সেই অর্থ রয়ে যায়।

ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ বলেন, শিক্ষক নিয়োগের পরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষকরা গ্রামে যেতে চায় না। এ সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহিদী বলেন, শিক্ষায় প্রশাসনিক ব্যয় কমিয়ে গবেষণার দিকে নজর দেওয়া দরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণার বেহাল দশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষক প্রতি ব্যয় মাত্র এক লাখ টাকা। গবেষণা বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যদি গবেষণার সুযোগ দিতে না পারি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ভবনের পরিবর্তন, শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। ভবন করা হলো শিক্ষক নাই, বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত নাই। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।কাগজে-কলমে দুর্নীতি, টাকা ছাড়া কিছু করা যায় না। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান করতে হবে।  আরটিভি