News update
  • 2016 Sholakia militant attack commemorated in Kishoreganj     |     
  • Korean aid agency offers Tk 100-cr to train BD workers     |     
  • BD to finalize aircraft purchase decision in 2 months: Faruk Khan     |     
  • Palestinian death toll in Gaza rises to 38,153: health authorities     |     
  • Power failure halts Metro Rail operations for over half an hour     |     

প্রত্যয় স্কিম: অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষকরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিক্ষকতা 2024-07-03, 12:08am

grsgdssf-347cf0223f68aa743d3b8c8010375fd31719943700.jpg




সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অন্যদিকে, আগামী ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়ে এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে ওই ব্যাখ্যা প্রত্যাখান করেছেন শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে আগামী বছর সেবক নামে যে স্কিম হচ্ছে ওখানে সবার জন্য যে সুযোগ-সুবিধা হবে আমরা সেখানে যাব। কোনো অসুবিধা তো নেই। দেশের স্বার্থে সবার জন্য যা হবে আমাদের জন্য তা হবে।’ পাশাপাশি তাদেরকে সুপার গ্রেডও দিতে হবে জানান তিনি।

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সমাজের সব স্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬৫ বছরে অবসর সুবিধা, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন সুবিধা, পিআরএল ছুটি বহালের কথা জানানো হয়।

এ ব্যাখ্যার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, এতদিন কোথায় ছিল। আমরা এতদিন বিবৃতি-স্মারকলিপি দিয়েছি, সংবাদ সম্মেলন করেছি। সাড়ে তিন মাস আগে যদি আমরা জানতাম বয়সসীমা ঠিকই আছে তাহলে শিক্ষকরা এত ক্ষুব্ধ হত না। এখন আন্দোলন স্তিমিত করার জন্য একটা একটা ব্যবস্থা করছে।

তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের আমরা বিশ্বাস করি না। ২০১৫ সালে যেভাবে তারা আমাদের রাস্তায় নামিয়েছে। সুপার গ্রেড আমাদের দেয়নি। সেসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, একটি কমিটিও হয়েছে। তবে নয় বছরেও আমরা সুপার গ্রেড পাইনি। তখনও আশ্বাস দিয়েছে। সুতরাং আশ্বাস দিলে হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে বসতে হবে। আমাদের সুপার গ্রেড দিতেই হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আগামী বছর সেবক আনবেন সেবকে কী সুযোগ সুবিধা আছে। সুযোগ সুবিধা আমরা দেখব। সর্বজনীন হলে আমরা কেন যাব না। কিন্তু আমাদের আলাদাভাবে যাব না সেখানে।’

এ সময় শিক্ষার্থীদের স্পেশাল ক্লাস-পরীক্ষার মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে অধ্যাপক নিজামুল বলেন, ‘এটা দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে না নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। তবে যে ক্ষতি হবে স্পেশাল ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে পুষিয়ে দেওয়া হবে।’ আরটিভি